আন্তর্জাতিক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন-জাতিসংঘ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী,লর্ড তারিক

  প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২৩ , ২:৪৫:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা-দক্ষিণ এশিয়া ও জাতিসংঘ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তিনি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক উন্নত ও শক্তিশালী হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সোমবার (১৯ জুন) ব্রিটেনের হাউজ অব লর্ডসে আয়োজিত বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে উদীয়মান অংশীদারিত্ব শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি লন্ডনে ঐতিহাসিক সফর এবং যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা তুলে ধরেন।তিনি বলেন,সেসময় থেকেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তিশালী এবং স্থায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।’

এবছর রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেকের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মধ্যে বৈঠকের কথা তুলে ধরে লর্ড আহমেদ বলেন,দুই নেতার মধ্যে উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত মূল্যবান বিনিময় হয়েছে।’

তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় এগিয়ে নিতে এ বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে এভিয়েশন পার্টনারশিপ এবং জলবায়ু চুক্তির দুটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্বাক্ষরেরও প্রশংসা করেন।

তিনি বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুকের অনেক আকাঙ্খা বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ,মেয়েদের শিক্ষা এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার কথাও তুলে ধরেন।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।তিনি তার বক্তব্যে গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক উন্মোচনের তাৎপর্যের ওপর জোর দেন।তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে,২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট ও জ্ঞানভিত্তিক দেশে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত লক্ষ্যে ভারত মহাসাগর এবং বৃহত্তর ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন,ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি,এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থের পাশাপাশি সবার জন্য ভাগ করা সমৃদ্ধির বৈশ্বিক আকাঙ্খা অনুসরণ করার জন্য প্রস্তুত।’

বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। বৈঠকে অংশ নেন ইন্দো-প্যাসিফিকের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান লর্ড রামি রেঞ্জার; বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের চেয়ার এবং বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূত রুশনারা আলী; বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং সচিব ভিসকাউন্ট ওয়েভারলি; যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতরের সাবেক জ্বালানি ও পরিবহন সচিব এবং সাবেক মন্ত্রী গিল্ডফোর্ডের আরটি লর্ড হাওয়েল এবং ব্যবসা, জ্বালানি এবং শিল্প কৌশল বিভাগের সাবেক মন্ত্রী জেন হান্ট।

এছাড়াও বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেন বাংলাদেশের সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য বীরেন্দ্র শর্মা এবং যুক্তরাজ্যে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

বৈঠকটি যৌথভাবে আয়োজন করে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ এবং লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন।এতে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন ইন্দো-প্যাসিফিক এবং বাংলাদেশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও অংশ নেন হাউজ অব কমন্স এবং হাউজ অব লর্ডসের বেশ কয়েকজন সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের ফরেন,কমনওয়েলথ এবং ডেভেলপমেন্ট কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা।

আরও খবর

Sponsered content