জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর কথা বলার আশ্বাসে কর্মসূচি আপাতত স্থগিত

  প্রতিনিধি ১০ জুলাই ২০২৩ , ৫:৩৭:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা বলার আশ্বাসে কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছেন ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত বিএসএমএমইউ ও বিসিপিএসের অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। সোমবার (১০ জুলাই) বিকালে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন।

ভাতা বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতি ও গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বিএসএমএমইউ ও বিসিপিএসের অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এরপর দাবি আদায়ে শাহবাগ ও বিএসএমএমইউ-তে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।পাশাপাশি সোমবার (১০ জুলাই) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি নিয়ে যান। চিকিৎসকদের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-১। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ শেষে তথ্য নিশ্চিত করেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. নুরুন্নবী।

তিনি বলেন,আমরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য যাই।আমাদের দাবি-দাওয়া কাগজপত্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করি।তিনি আমাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন।এপিএস ম্যাডাম আমাদের আশ্বাস দেন,প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দুই-তিন দিনের মধ্যে দেখা করবেন।এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের মঙ্গলবারের (১১ জুলাই) অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’

উল্লেখ্য,চিকিৎসকরা গত ৮ জুলাই থেকে ভাতা ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন। চিকিৎসকদের দাবি—তাদের ভাতা ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা ও নিয়মিত ভাতা প্রদান করতে হবে।

সোমবার (১০ জুলাই) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন,সহ-সভাপতি ডা. ইমরান সিকদার ও ডা. হাবিবুর রহমান স্মারকলিপি জমা দেন।

প্রসঙ্গত,পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকরা দুই বছর থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর উচ্চশিক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন এবং এই সময়টা তারা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা দিতে বাধ্য। একই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী,তারা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না।এ জন্য তারা সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন,যা একটা বড় শহরে থেকে সংসার পরিচালনার জন্য যৎসামান্য বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। বাড়ি ভাড়া ও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে উচ্চ বাজার মূল্যের এই কঠিন সময়ে সংসার পরিচালনা করা কষ্টের এবং অমানবিক বলে জানান তারা।তাই দীর্ঘদিন ধরে ভাতা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে আসছেন তারা।

আরও খবর

Sponsered content