প্রতিনিধি ২১ মার্চ ২০২৫ , ৫:৪৩:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষক অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।পাশাপাশি কেন তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না সেই কারণ জানাতে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়,আপনি অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু,২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লব চলাকালীন প্রক্টরের দায়িত্ব পালনের সময় আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের পাঁচ হাজার ছাত্র হত্যার হুমকি দেন,যা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে এবং জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।এছাড়া আপনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে হল থেকে বের করে দেন এবং ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের রিপোর্ট আছে বলে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন।’
এমন অবস্থায় তাঁকে চাকরিতে বহাল রাখা জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচিত হওয়ায় এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।এছাড়া যথাযথ জবাব দিতে ব্যর্থ হলে ড. সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও অফিস আদেশে জানানো হয়েছে।
জানা যায়,জুলাই অভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. কেরামত আলী হলে যান অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু।এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,‘বাংলাদেশের সরকার খুব সহজে ক্ষমতা ছাড়বে না, গদি ছাড়বে না।যদি আরও ৫ হাজার মানুষ মারা লাগে,তবুও সরকার চিন্তা করবে না।’
শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ‘এই মিয়া এই’ শব্দ উচ্চারণ করে তাদের দিকে তেড়ে যান এবং শিক্ষার্থীদের আর্থিক সমস্যাকে ‘খোঁড়া যুক্তি’ আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।পরে তাঁর এসব বক্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত,জুলাই আন্দোলনের সময়েই শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ৪ আগস্ট তাঁকে প্রক্টর পদ থেকে অপসারণ করে তৎকালীন প্রশাসন।পরবর্তীতে তাঁকে রেজিস্ট্রার পদ থেকেও অপসারণ করা হয়।