প্রতিনিধি ২২ মে ২০২৪ , ৪:৪১:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।নির্ধারিত ৩২ হাজার কোটি টাকার মধ্যেই শেষ হচ্ছে পদ্মা সেতু প্রকল্প।আসছে জুনেই বন্ধ হচ্ছে বাঙালির স্বপ্নের এই প্রকল্পের ফাইল।
কর্তৃপক্ষ বলছে,নদী শাসনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সব শেষ কিস্তি শোধ করলেও ব্যয় নির্ধারিত বাজেটের মধ্যেই থাকবে।
এরইমধ্যে নদী শাসনের সুফল ভোগ করছেন পদ্মার দুপাড়ের মানুষ।চোখের সামনে এমন পরিবর্তন দেখে তাদের দাবি, পদ্মা ঘিরে সম্প্রসারিত হোক নদী বশে আনার এই প্রক্রিয়া।
আক্কাস আলীর বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে।তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই প্রমত্তার স্রোতে।সরল স্বীকারোক্তি,জীবনে মাছ ধরা বাদে অন্য কিছুই ভাবা হয়নি।তবে গত কয়েক বছরে অনেক বদলেছে তার যাপিত জীবন।এক সময় দিনভর জাল ফেলে হাজার টাকা পকেটে তোলাও দুষ্কর ছিলো।এখন দিনে তিন-চার আবার কখনও পাঁচ হাজার টাকাও আয় হয়।
বৃহৎ পরিসরে পদ্মা সেতুর নানা সুফল আর সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হলেও সরল অঙ্কের সমীকরণটা এখানে মেলে খাপে খাপ।
২০২২ সালের ২৫ জুন স্বপ্ন যাত্রার শুরু।আর মাত্র কয়েটা দিন।৩০ জুন শেষ হচ্ছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মেয়াদ।কাগজে কলমে মূল সেতুর কাজ শেষ হলেও চলমান ছিলো নদী শাসনের কাজ। ২০১৪ সালে চাইনিজ কোম্পানি সিনোহাইড্রোকে ৮ হাজার ৭০৮ কোটি টাকায় নিয়োগ দিয়েছিলো সেতু কর্তৃপক্ষ।
দুপাড়ে ১৬ কিলোমিটার নদী শাসন শেষ।গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্যয় এক দফা বেড়ে নদী শাসনের খরচ দাড়ায় ৯ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।শেষ বেলায় এসে নতুন করে আরও হাজার কোটি টাকা দাবি করেছে সিনোহাইড্রো।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম সময় সংবাদকে জানান,আর একমাস পর শেষ হচ্ছে প্রকল্পটি। যাচাই-বাছাই শেষে বাড়তি টাকার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।তবে এটাই হবে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বড় মাপের সব শেষ পেমেন্ট।
তবুও প্রকল্পের মোট বাজেট ৩২ হাজার কোটি টাকার মধ্যেই থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।