অপরাধ-আইন-আদালত

নাটোর শহরের বিভিন্ন মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে দেহব্যবসা এবং ফিটিং বানিজ্য!

  প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১০:৪৪:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নাটোর প্রতিনিধি।।মিথিলা কান্ড গণধর্ষণে এই নারী প্রতারক মিথিলা কখনও মিনু, কখনও সুমি, কখনো মিথিলা আবার কখনও রোমানা নামে পরিচিত তিনি। এসব নামের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে একাধিক নামে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র এবং নাগরিক সনদপত্র।নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকায় এস এসসি পরিক্ষার্থীকে গণ ধর্ষণের ঘটনায় তিন ধর্ষক সহযোগীতার অভিযোগে মিথিলা এবং তাঁর কথিত স্বামী মৃদুল হোসেন আটক করেছে নাটোর সদর থানা পুলিশ।
আসলে তাঁর প্রকৃত পরিচয় হলো,

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা কাজীপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী নূরুল ইসলাম ভুট্টোর কন্যা মোছাঃ নুরুন নাহার মিথিলা(২৫) ।তিনজন বৈধ স্বামীর পরিচয় পাওয়া গেলেও রয়েছে আরও অনেক স্বামী। একাধিক প্রতিষ্ঠানে ছদ্মনাম এবং ভিন্ন ভিন্ন নামের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে একাধিক চাকরিও করেছেন তিনি নির্বিঘ্নে।

নাটোর শহরের বিভিন্ন মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে দেহব্যবসা এবং ফিটিং বানিজ্য

চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে ।বিয়ের নামে বহু পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ লুট, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে নানামুখী প্রতারণা-জালিয়াতি ও নিরীহ লোকদের হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে এই নারীর বিরুদ্ধে। মুঠোফোনে বিভিন্ন পুরুষকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নাটোরে নিয়ে আসতো । নিজের বাসায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে মিথিলার বন্ধু বলে পরিচিত রনি,রকিসহ কানাইখালী কেন্দ্রিক সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তদের দিয়ে জোরপূর্বক অন্তরঙ্গ মূহর্তের ছবি বা
নগ্ন করে ছবি তুলতো ।এটা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করার ফিটিং বানিজ্য চালিয়ে আসছিল মিথিলা ।এছাড়া মিথিলার বাসায় নিয়মিত বসতো ইয়াবার আসর । এমন একজন ভুক্তভোগী খাজুরা

ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, ৪/৫ মাস আগে আমাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায় প্রতারক মিথিলা । পরে শহরের একতা ক্লিনিকের পাশে নিয়ে গিয়ে শহরের কানাইখালী মহল্লার কিছু চিহৃিত সন্ত্রাসীকে দিয়ে মারপিট করে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে আরোও ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। আমি মান সম্মানের ভয়ে অভিযোগ করতে পারিনি ।

এছাড়া এই নারী দিঘাপতিয়া এমকে কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ নাটোর জেলা শাখার উপদেষ্টা প্রভাষক প্রভাষক নাসির উদ্দিন ওরফে নাসির বাদশা নামে শিক্ষার্থী হিসেব যৌন হুয়রানির মিথ্যা অভিযোগ করে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে । মোছাঃ নুরুন নাহার মিথিলার অভিযোগ পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমানীত হওয়ায় তিনি অভিযোগ লিখিত আকারে প্রত্যাহার করেন ।

আরও খবর

Sponsered content