সারাদেশ

নলছিটিতে আল্লাহর নামের ষাঁড় রাতের আঁধারে জবাই

  প্রতিনিধি ১৮ এপ্রিল ২০২৩ , ১:১৮:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

রবিউল ইসলাম রবি (বরিশাল) অফিস॥ দেড় দু’লাখ টাকার মূল্যের আল্লাহর রাস্তায় দানকৃত ষাঁড় (বলদগরু) মাত্র ৫০ হাজার টাকা বিক্রয়মূল্য ধার্য্য ধরে রাতের আঁধারে জবাই করে ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

১৭ এপ্রিল (সোমবার) বিকেলে বলদ গরুটি পৌরসভার অন্তর্গত মাটিভাঙ্গা নামক স্থানে স্থানীয়রা দেখলেও ওই দিন তারাবিহ নামাজের নির্জন সময় দরগাহ বাড়ী নামক স্থানে ষাড়টিকে জবাই করে ভাগবাটোয়ারা করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদ আগমন উপলক্ষে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি মিলিত হয়ে দেড় দু’লাখ টাকার মূল্যের একটি আল্লাহর নামে মুক্ত থাকা ষাঁড়কে মাত্র ৫০ হাজার টাকা বিক্রয়মূল্য ধার্য্য করে নামমাত্র কমিটি গঠন করে রাতের আঁধারে জবাই করে মাংস ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে।

বর্তমানে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। নিয়মানুযায়ী, কোন আল্লাহর রাস্তায় দানকৃত প্রাণী নিরীহ প্রাণি জবাই করে খেতে হলে আইন মেনে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এনিয়ে নলছিটি পৌরসভায় নানা শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।আক্তারুজ্জামান বাচ্চু সমাজে নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত আছে। নিজে একজন ধর্ষন মামলায় অভিযুক্ত । তার সহযোগী জলিল আকন্দ। স্থানীয় অনেকে তাদের অবৈধ কাজ কর্মের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হলে তাদের নামে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে দেয় । তাদের ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলেন না।

নলছিটি উপজেলা পশুপালন ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: হাফিজুর রহমান এর যোগসাজসে এবং কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্ছুর নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় এক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

তবে আক্তারুজ্জামান বাচ্ছু বলেছেন, একটি কমিটি গঠন করে ঘাঁড়টির দাম ধরে জবাই করা হয়েছে। এ কমিটিতে তিনি নেই। অপরদিকে নলছিটি পৌরসভার বর্তমান মেয়র ওয়াহেদ কবির কে আহবায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে ঘাঁড় জবাই করার বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পরেছে। কিন্তু মেয়র ওয়াহেদ কবির বলেন, বিষটি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।

 

নলছিটি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তাকে কেউ জানায়নি।  কেউ কোন অভিযোগও দেয়নি। এই শুনলাম। নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা নাহিদ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।

 

উপজেলা পশুপালন ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: হাফিজুর রহমান এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরও খবর

Sponsered content