জাতীয়

নতুন নামকরণ “বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা”

  প্রতিনিধি ১১ এপ্রিল ২০২৫ , ৬:০৪:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলা নববর্ষের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে রাখা হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এবারের আয়োজনে ২৮ জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মধ্য শোভাযাত্রাটি ‘সকলের হয়ে উঠবে’ বলে মনে করছেন আয়োজন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম বলেন,সকলকে সঙ্গে নিয়ে এবারের শোভাযাত্রা আনন্দময় হবে।

চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেন।
চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেন।

গত শতকের আশির দশকে সামরিক শাসনের অর্গল ভাঙার আহ্বানে পহেলা বৈশাখে চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হয়েছিল; সেটিই পরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ নেয়। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতিও পায় এ কর্মসূচি।

পহেলা বৈশাখের সকালে বরাবরই রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। নববর্ষ উদযাপনে তার আগে থেকেই শাহবাগ এলাকা রূপ নেয় জনারণ্যে।

নানা সাজে বিভিন্ন বয়সী মানুষে অংশ নেন শোভাযাত্রায়। ঢাকের তালে তালে শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে ফের শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয় এটি।

এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।

এই প্রতিপাদ্য ধারণ করে শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে গতবছর জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে ‘ফ্যাসিবাদকে’ বিদায় জানানো হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন এই দেশে আর না হয়, সে প্রত্যাশাও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে আয়োজন সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য।

আরও খবর

Sponsered content