জাতীয়

দেশের প্রথম ডিজিটাল এ মহাসড়ক নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে দিনরাত

  প্রতিনিধি ৮ আগস্ট ২০২৩ , ৪:৪৩:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে উন্নয়ন কাজে বাধা এলেও এখন গতি ফিরেছে রংপুর-ঢাকা ছয়-লেন মহাসড়কের নির্মাণ কাজে।দেশের প্রথম ডিজিটাল এ মহাসড়ক নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে দিনরাত।এরই মধ্যে নির্মাণাধীন মহাসড়কের কাজ শেষ হয়েছে ৭৫ শতাংশ।আগামী বছর (২০২৪ সাল) শেষে এ মহাসড়ক খুলে দেয়া হলে প্রায় ৫ ঘণ্টায় (অর্ধেক সময়) রংপুর থেকে রাজধানী ঢাকায় যাওয়া যাবে।

আপাতদৃষ্টিতে কেবল উন্নত আধুনিক একটি মহাসড়ক মনে হলেও এর মূল উদ্দেশ্য হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি এবং এর মাধ্যমে সাসেক করিডোর,এশিয়ান করিডোর,বিমসটেক করিডোরে যুক্ত হওয়া। মহাসড়কটি তৈরি হচ্ছে সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন নামের একটি প্রকল্পের অধীনে।

এতে যানজট ও দুর্ঘটনা কমার পাশাপাশি স্বল্প সময়ে পৌঁছানো যাবে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায়।বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকবে উড়ালসড়ক,আন্ডারপাস, ষছোট-বড় সেতু ও কালভার্ট। ফলে গাড়ির ক্রসিং কম হবে,পাশাপাশি সার্ভিস রোড থাকার কারণে লোকাল গাড়িগুলো চলাচল করতে পারবে।

এ সড়কে নিয়মিত চলাচলকারীরা বলেন, ছয়-লেন মহাসড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হলে শুধু যাতায়াতের সুবিধাই নয়, ব‍্যবসা ক্ষেত্রেও ঘটবে আমূল পরিবর্তন।খুব অল্প সময়ে রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে। ক্লান্তি থেকেও অনেকটা রেহাই পাওয়া যাবে।

বাস ড্রাইভাররা বলেন,এটি হলে শুধু যানজট নিরসন হবে না; পাশাপাশি রংপুরে পৌঁছার সময় কমে আসবে পাঁচ ঘণ্টায়; কমবে দুর্ঘটনাও।

সাসেক রোড কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-২-এর আবাসিক প্রকৌশলী অনুপ কুমার মণ্ডল সময় সংবাদকে বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দুই বছর এর কার্যক্রম ধীর গতিতে হয়েছে। এখন আমরা টোল প্লাজা,বড় বড় ব্রিজ ও আন্ডার পাসের কাজগুলো দ্রুত শেষ করছি। আশা করছি ২০২৪ সালের জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা এটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে পারব।’

সাসেক রোড কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-২-এর উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক নাসিদ হাসান সিরাজী বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ করার নির্ধারিত সময় ছিল ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। তবে সেখান থেকে আমাদের আরও কিছু সময় বেশি লাগছে। কারণ মাঝখানে করোনা মহামারি এবং সেই সাথে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছি। তবে আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই প্রজেক্টের কাজ শেষ হবে।’

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে রংপুরের মডার্ন পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মহাসড়কের শেষ অংশের কাজ রাত-দিন সমানতালে চলছে। যদিও করোনার কারণে পুরো দুই বছর ধুঁকেছে এ প্রকল্প।

আরও খবর

Sponsered content