প্রতিনিধি ৯ জানুয়ারি ২০২৩ , ১২:৪৩:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি।।খুলনার পাইকগাছায় দীর্ঘদিন প্রেম,গোপনে বিয়ে অতঃপর স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়।

একতরফা বিবাহ বিচ্ছেদের পর আবার গোপন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর অবশেষে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আটক হয়ে জেল হাজতে জাকিরুল ইসলাম।
মামলা সূত্র জানা গেছে,উপজেলার গদাইপুর ইউপির গদাইপুর গ্রামের আসমা বেগম (ছদ্মনাম) নামে জনৈক মহিলার নতুন বাজারে কসমেটিকস এর দোকান।
২০২০ সালের দিকে তোকিয়া গ্রামের করিম গাজীর ছেলে জাকিরুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আসমার। একপর্যায়ে ০৬/১২/২০২০ তারিখ নোটারী পাবলিক কার্যালয় খুলনার মাধ্যমে বিবাহ হয় তাদের।
বিয়ের পর হতে আসমার পিতার বাড়ি ও পুরাইকাটী গ্রামের তার খালুর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রী রুপে মেলামেশা করতে থাকে।
জাকিরুল চাকরি পেয়ে বাড়িতে উঠবে বলে আসমাকে আশ্বস্ত করতে থাকে।স্ত্রীর বাঁধা উপেক্ষা করে মোবাইলে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ভিডিও করে জাকিরুল।জাকিরুল অন্তরঙ্গ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে স্ত্রীর নিকট থেকে অর্থ আদায় করে পালিয়ে থাকে।
উপায়ন্ত না পেয়ে আসমা বেগম স্ত্রীর দাবী নিয়ে জাকিরুলের বাড়িতে উঠে বসে।জাকিরুল পালিয়ে থেকে ১৬/০৯/২০২১ ইং তারিখে ডিভোর্স পাঠায়।
দীর্ঘদিন খুজে না পেয়ে গত ১৫/১২/২০২২ ইং তারিখে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।
অতঃপর গত ২৯শে ডিসেম্বর এস আই তাকবির হোসাইন উপজেলার সোসাল ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে দুপুর ২টার দিকে জাকিরুলকে আটক করে।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে ৪ ও ৫ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ রিমান্ডে এনে জিঙ্গাসাবাদ শেষ করে পুনরায় জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
এ বিষয়ে খুলনা জেলার-পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জাকিরুলকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে রিমান্ড আবেদন করলে রিমান্ড মঞ্জুর হয়। রিমান্ড শেষে তাকে পুনরায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।










