প্রতিনিধি ২৭ নভেম্বর ২০২৩ , ৩:০৫:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।তেজগাঁও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুর রশীদ তার নিজ এলাকা জামালপুর-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে আবেগঘন চিঠি লিখে নির্বাচনী রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানান।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশীদ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পত্রে চিঠি লিখে ওই ফেসবুকে পোস্ট করেন।ফেসবুকে ওই চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই পোস্টে ৪০০ জনেরও বেশি মন্তব্য করেছেন।
অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ ওই চিঠিতে লিখেন, ‘প্রিয় সরিষাবাড়ীবাসী……আসসালামু আলাইকুম, আমার মনোনয়নের জন্য বার বার অসংখ্য নেতাকর্মী সমর্থকদের বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো সমর্থন দিয়েছেন। আমাদের পরিবারের সদস্যদের সারাজীবন মনে রাখবে। আপনাদের যে ক্ষতি করলাম এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী আমাকে মাফ করে দেবেন। একবার নয় বার বার এরকম সমর্থন অনেকেই পান নাই। আপনাদের কষ্ট হচ্ছে জেনেই দুই কলম লিখছি। ইচ্ছে ছিল দুর্নীতি ছাড়া এলাকার উন্নয়ন করব। আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যক্তি যতটুকু ক্ষমতা ও সামর্থ্য ছিল তা সরিষাবাড়ীবাসীদের জন্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মহান রাব্বুল আলামিন যা যার জন্য প্রয়োজন তাই করে থাকেন। আমাদের নেত্রী দেশের জন্য অনেক করেছেন সামনে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।’
অধ্যক্ষ তিনি আরও লিখেন, ‘জামালপুর-৪ আসনের জন্য যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাকে স্বাগত জানাই। আমার বয়স হয়েছে। ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আরেক ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করেন মহান সৃষ্টিকর্তা রাব্বুল আলামিন। আমি আপনাদের কতো বিপদে ফেললাম সে জন্য আবারও ক্ষমাপ্রার্থী। সর্বশেষ ৫০ হাজার মানুষ আপনারা আমার জন্য একত্রিত করেছিলেন। আমি বার বার আপনাদের বিমুখ করেছি এবং করলাম। তাই নির্বাচনী রাজনীতি থেকে অবসর নিলাম। তবে পারিবারিক রাজনীতি অব্যাহত থাকবে। নেত্রীর মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ।’
জানা যায়, সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। সেই সময় ও তিনি মনোনয়ন পাননি। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন তবে এবারও তিনি মনোনয়ন পাননি। অধ্যক্ষ মো. আবদুর রশীদ তার জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার ধানাটা গ্রামের বাসিন্দা।
সাবেক অধ্যক্ষের ফেসবুকে ওই পোস্টে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার অনুরোধ করে অনেকই মন্তব্য করছেন। আলমগীর হোসেইন নামে একজন মন্তব্যের ঘরে লিখেন, স্যার, রাজনীতি থেকে আপনার অবসর সিদ্ধান্ত মানতে পারছি না। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার নির্দেশনা আছে… তাই আপনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা দরকার।
এবিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনের যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।