রাজনীতি

তারেক রহমানের দেশে ফেরা: রাষ্ট্র কি প্রস্তুত,নাকি অদৃশ্য বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে দেশকে?

  প্রতিনিধি ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ , ১:৪৫:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য যতটা সরব, রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি তার তুলনায় ততটাই অস্পষ্ট।অনুসন্ধানে উঠে আসা তথ্য বলছে—এটি আর নিছক রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের বিষয় নয়; বরং আইন,নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এক বিপজ্জনক জটিলতায় আটকে আছে পুরো প্রক্রিয়া।

🔥 গোয়েন্দা সতর্কতা উপেক্ষিত?

গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, তারেক রহমানের সম্ভাব্য আগমনকে কেন্দ্র করে আত্মঘাতী বোমা হামলা,বিমান ছিনতাই এবং বিমানবন্দরকেন্দ্রিক নাশকতার নির্দিষ্ট হুমকি চিহ্নিত করা হয়েছে।তবুও প্রশ্ন উঠছে—
➡️ এসব হুমকি জেনেও কি রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে?
➡️ রাষ্ট্র কি আবারও “ঘটনার পর তদন্ত” সংস্কৃতির দিকে হাঁটছে?

একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন,

> “এই মাত্রার হুমকি মোকাবিলায় শুধু প্রটোকল যথেষ্ট নয়। ভুল হলে তার দায় বহন করবে পুরো রাষ্ট্র।”

⚖️ ৮৫ মামলার বাস্তবতা: খারিজ নাকি কাগুজে নিষ্পত্তি?

নির্বাচন কমিশনের ভেতরের একটি সূত্র জানায়,তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা প্রায় ৮৫টি মামলার খারিজের সার্টিফাইড কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ভোটার হিসেবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।

কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে—একাধিক মামলার রায় এখনো উচ্চ আদালতে আপিলাধীন,কিছু মামলায় খারিজের আদেশ থাকলেও পূর্ণাঙ্গ রায় কার্যকর হয়নি,আবার কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমঝোতার অভিযোগ উঠেছে।

আইন বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন—
➡️ এসব মামলার নিষ্পত্তি কি প্রকৃত বিচারিক প্রক্রিয়ার ফল,নাকি রাজনৈতিক দরকষাকষির অংশ?

🏛️ রাজনীতি বনাম রাষ্ট্র: কে কার ওপরে?

বিএনপির দাবি,তারেক রহমানের দেশে ফেরা “গণতান্ত্রিক অধিকার”। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন,এটি একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং নির্বাচনী ভারসাম্যে বড় ধাক্কা।

ক্ষমতাসীন ও প্রশাসনিক মহলের ভেতরে নীরব উদ্বেগ—
সহিংস রাজনীতি আবার মাথাচাড়া দিতে পারে,
রাজপথে সংঘাত ও প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা বাড়বে,
নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরি হবে।

তবুও প্রশ্ন রয়ে যায়—
➡️ রাজনৈতিক সুবিধার জন্য কি নিরাপত্তা ও আইনের শাসনকে পেছনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে?

🌍 আন্তর্জাতিক চাপ: নীরব কূটনীতি না প্রকাশ্য হস্তক্ষেপ?

তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় বিষয়টি আন্তর্জাতিক মাত্রাও পেয়েছে।কূটনৈতিক সূত্র জানায়—

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছে,

রাজনৈতিক আশ্রয় ও আইনি নিরাপত্তা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর আগ্রহ রয়েছে।

তবে এখানেও প্রশ্ন— ➡️ আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে কি অভ্যন্তরীণ আইন ও নিরাপত্তা ঝুঁকি উপেক্ষা করা হচ্ছে?

🧨 উপসংহার: প্রত্যাবর্তন না রাষ্ট্রীয় পরীক্ষা?

সব মিলিয়ে তারেক রহমানের দেশে ফেরা এখন—

একটি আইনি পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপ,

একটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা অগ্নিপরীক্ষা,

এবং একটি রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ঝুঁকিপূর্ণ অধ্যায়।

যদি মামলার প্রকৃত নিষ্পত্তি ও পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা প্রস্তুতি ছাড়া এই প্রত্যাবর্তন ঘটে,তবে তার দায় শুধু কোনো একক রাজনৈতিক দলের নয়—
👉 দায় বর্তাবে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর।

আরও খবর

Sponsered content