প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৯:৩৫:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রেক্ষাপটে নতুন করে বিতর্ক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার নাটক,জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে জটিল সম্পর্ক, এবং সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এস বি রনি উল্লেখ করেছেন যে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি দীর্ঘদিন অনিশ্চিত ছিল।দেশের রাজনীতিতে দূর্নীতিবাজ ও মাফিয়া গডফাদার হিসেবে পরিচিত তারেক রহমানের রাজনৈতিক প্রভাব নিশ্চিত করার জন্য বিডিআর বিদ্রোহের নাটক সাজানো হয়েছিল। এতে অন্তত ২৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রনি বলেন,ছোটবেলা থেকেই তারেক রহমান রাজনৈতিক দুনিয়ায় ধূর্ত ছিলেন।পড়াশোনায় অগ্রগতি না থাকায় তিনি খুব অল্প বয়সে দূর্বৃত্তায়নের রাজনীতিতে জড়িত হন এবং ধীরে ধীরে একটি বিশাল দূর্নীতি ও মাফিয়া সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। ২০০১ সালে বিএনপি ও জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর তারেক রহমান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হন এবং তখন খালেদা জিয়ার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যান।
তারেক রহমানের দূর্নীতি ও অপরাধমূলক কার্যকলাপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “হাওয়া ভবন” কেন্দ্রিক দূর্নীতি,মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ,২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পক হওয়া,এবং বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার।মার্কিন এফবিআইসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সাক্ষ্য অনুযায়ী,তারেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে।

রনি আরও উল্লেখ করেছেন যে,তারেক রহমানের রাজনৈতিক ধূর্ততার কারণে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চলে আসছে।এই প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও হাদীর মৃত্যুকে রাষ্ট্রীয় রঙ মিশিয়ে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন,বাংলাদেশে তারেক রহমানের রাজনীতি শুধুই ব্যক্তিগত স্বার্থ ও ক্ষমতালোভে পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন,ইউনূসের মতো রাজনৈতিক কুশীলবের মধ্যস্থতা এবং জামায়াত-বিএনপির মিশ্র সম্পর্ক দেশের রাজনীতিকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করছে।
রনির মতে,“রাজনীতিতে তারেক রহমান অতীতেও সফল হননি,ভবিষ্যতেও হবে না।তবে তার ধূর্ততা,দূর্নীতি ও আন্তর্জাতিক সংযোগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অনিশ্চিত করে রেখেছে।”
















