সারাদেশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৮ লেনের কাজ শুরু

  প্রতিনিধি ২৫ আগস্ট ২০২৩ , ৪:২৯:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।চার লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি ক্রমবর্ধমান যানবাহনের চাপ সামলাতে আট লেনের করা হবে।বর্তমানে এই সম্প্রসারণের নকশা তৈরির কাজ চলছে।সরকারি সূত্র অনুসারে,তিন ধাপের এই প্রকল্পের কাজ ২০২৫ সালের মধ্যে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (আরএইচডি) এপ্রিল মাসে পাঁচটি বিদেশি এবং স্থানীয় সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নকশা তৈরির কাজ শুরু করেছে।এটি ১৮ মাসের মধ্যে শেষ হবে।

সূত্র জানায়,আরএইচডি ২২৯ কিলোমিটার মহাসড়ক ছয় ও আট লেনে রূপান্তরের জন্য তিনটি প্রকল্প পরিকল্পনা জমা দিয়েছে। এতে খরচ হবে ৭৩১. ৫১ বিলিয়ন টাকা।

প্রথম ধাপে ঢাকা,নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের ৩৮ কিলোমিটার সড়কে ব্যয় হবে ৮২.৬৮ বিলিয়ন টাকা। দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লা থেকে ফেনী পর্যন্ত ১২৫ কিলোমিটার সড়কে ব্যয় হবে ৪৫৯.৪১ বিলিয়ন টাকা। তৃতীয় ধাপে ফেনী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৬৬ কিলোমিটার সড়কে ব্যয় ১৮৯. ৪২ বিলিয়ন টাকা।

আরএইচডি সূত্র জানিয়েছে, মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে অর্থায়ন করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

আরএইচডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাব্বির হাসান খান বলেছেন,নকশার কাজ আগামী বছরের অক্টোবরে শেষ হতে পারে।নির্মাণ কাজ ২০২৫ সালে শুরু হতে পারে। হাইওয়েতে আন্ডারপাস এবং ওভারপাস উভয়ই থাকবে।

বর্তমানে চার লেনের মহাসড়কটির বেশির ভাগই আট লেন এবং কোথাও ছয় লেনের হবে বলে জানান তিনি।নকশায় মহাসড়কের সঙ্গে কোনও আন্তঃসংযোগকারী রাস্তা যেন না থাকে সে বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে।এর ফলে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন হবে।

এদিকে এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি মাহবুবুল আলম, যিনি একসময় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতিও ছিলেন। তিনি সিসিসিআই প্রধান থাকাকালে এটিকে আট লেনের মহাসড়ক করার জন্য একাধিকবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে কার্গো ও কন্টেইনার পরিবহনের জন্য এবং প্রতিবেশী দেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার জন্য আমরা সবসময় এটিকে আট লেনের মহাসড়ক করার দাবি জানিয়েছি।’

সড়ক ও মহাসড়ককে উন্নয়নের পূর্বশর্ত উল্লেখ করে মাহবুবুল আলম বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির কেন্দ্র এবং রপ্তানি-আমদানি পণ্য বেশিরভাগই এই মহাসড়ক দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়।তদুপরি,দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসাবে বিবেচিত হওয়ায় এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করিডোর হয়ে উঠেছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এছাড়া চট্টগ্রামে মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে।তাই ব্যবসায়ী মহল সব সময় এটিকে আট লেনের মহাসড়ক করার দাবি জানিয়ে আসছে।’

আরও খবর

Sponsered content