জাতীয়

ডিজিটাল সংযুক্তি স্মার্ট বাংলাদেশের মেরুদণ্ড হবে-ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী,মোস্তাফা জব্বার

  প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:৫০:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ডিজিটাল সংযুক্তি স্মার্ট বাংলাদেশের মেরুদণ্ড হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) তিন দিনব্যাপী আয়োজিত ১৮তম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম-২০২৩ বিষয়ক সেমিনারে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন,স্বাধীনতার ৫২ বছর পর বাংলাদেশ বর্তমানে যে অবস্থানে এসেছে তা সারা বিশ্বের জন্য রোল মডেল। দেশের তরুণ প্রজন্ম আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকার। ডিজিটাল সংযুক্তি হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মেরুদণ্ড।

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ টুজি নেটওয়ার্কের যুগে প্রবেশের পর গত ২৬ বছরে দেশের প্রায় শতভাগ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্ক কাভারেজের আওতায় এসেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মানুষের দৈনন্দিন জীবনধারায় ইন্টারনেট অপরিহার্য হয়ে উঠেছে জানিয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন,ডিজিটাল সংযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নে বিটিআরসি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব কে এম আবদুস সালাম বলেন,২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের গৃহীত ডিজিটাল বাংলাদেশের যে যাত্রা,তার সুফল দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে।

গত ১০ বছরে ডিজিটাল খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,বর্তমান ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে রূপকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা যথাসময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

আলোচনায় বক্তারা বলেন,দেশের সকল মানুষকে কানেকটিভিটির আওতায় নিয়ে আসতে এবং ডিজিটাল রূপান্তরের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশের অধিকাংশ উপজেলাকে উচ্চগতির ফাইবার অপটিক ক্যাবলের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।আলোচনায় নেটওয়ার্ক কাভারেজ,নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট,স্মার্ট ডিভাইস এবং ডেটামূল্যের সহজলভ্যতা, ডিজিটাল অবকাঠামো বিনির্মাণের বিষয় তুলে ধরা হয়।

টেকসই ইন্টারনেট সুবিধা,ইন্টারনেটের অর্থবহ ব্যবহার এবং এ খাতে গবেষণা অত্যন্ত জরুরি বলেও জানান বক্তারা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আ.হ.ম বজলুর রহমান, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক অনু, এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর’স বাংলাদেশের মহাসচিব লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content