অপরাধ-আইন-আদালত

ঝালকাঠিতে ফোন কিনে না দেওয়ায় অভিমান করে কিশোরের আত্মহত্যা

  প্রতিনিধি ৩ জুন ২০২৩ , ২:৩৫:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি।।ঝালকাঠিতে মোবাইল ফোন কিনে না দেয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোর আত্মহত্যা করে।ঝালকাঠি পৌর এলাকার কৃষ্ণকাঠি (টেম্পু ষ্টান্ড) ব্রীজ সংলগ্ন আমির হোসেনের ভাড়া বাড়িতে ৩ জুন শনিবার দুপুর আনুমানিক ৩টার সময় মহিউদ্দিন মিতুল (১৮) নামের এক কিশোরের গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকা দেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

নিহত মিতুলের মা তাসলিমা বেগম বলেন,আমার ছোট ছেলে কলেজ রোড এলাকায় গ্রীল ওয়ার্কসপে কাজ করতো। গত সাত দিন যাবৎ কাজে যায়না।মোবাইল কেনার জন্য টাকা চায় প্রতিদিন টাকার জন্য ঘরে আমার সাথে চেচামেচি করে।আমি টাকা যোগার করে দিতে না পাড়ায় সে আত্মহত্যা করেছে।

আজ সকাল ১১ টার সময় আমি ছেলেকে নাস্তার টাকা দিয়ে এক বাড়িতে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠানে যাই। সেখানে থাকা অবস্থায় আমাকে ফোন দিয়ে জানানো হয় মিতুল আত্মহত্যা করেছে আমি সাথে সাথে বাসায় ছুটে এসে দেখি আমার ছেলে আর নেই।

নিহতের বড়বোন শান্তা বেগম বলেন,’আমার বাবা ফারুক হোসেন ৭ বছর আগে মারা যায়।তারপর আমার মা সোহাগ হোসেন নামের এক রং মিস্ত্রীর সাথে বিবাহ বসেন।সেই ঘরেই থাকতো ছোটো ভাই মিতুল।তবে নিহত মিতুল বেশির ভাগ সময় নেশা করতো।এছাড়াও নিহতের ভাই মো. অনিক বলেন, ‘ঘটনার সময় বাসায় কেউ ছিলেন না।আব্বু দুপুরে বাসায় গিয়ে দরজা নক করলে ভিতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশিদের নিয়ে দরজা ভেঙে দেখতে পায় মিতুল গলায় ওড়না পেছিয়ে জানালার সাথে বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত‍্যা করেছে।’

এ বিষয় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন সরকার আত্মহত্যার তথ্য নিশ্চিত করে জানান,আমরা লাশের সুরতহাল করেছি,তাতে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা।এর বাইরে যদি কিছু থাকে সেটা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশের ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আরও খবর

Sponsered content