অপরাধ-আইন-আদালত

ছাত্রলীগ নেতা সুজনের সহযোগী শাওন ৬শ পিচ ইয়াবা সহ আটক

  প্রতিনিধি ২০ মে ২০২২ , ১০:৩৯:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পরেছে বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজন।নানান অভিযোগের তীর তার দিকে আর এসব এড়িয়ে যাচ্ছেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে এড়িয়ে।বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী হওয়ার সুবাদে সুজনের লাগামহীন অপরাধ করলেও দৃষ্টান্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

একবার সাময়িক বরখাস্ত করলেও পরে তা বহাল করে কতিপয় নেতারা। তবে এবার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজনের সাথে আঠার মত লেগে থাকা সহচর সম্প্রতি ৬শ পিচ ইয়াবা সহ আটক হওয়ায় বেশ চাপের মূখে রয়েছে।

জানা গেছে, কুখ্যাত মাদক সম্রাট মোঃশাওন শিকদার ছাত্রলীগ নেতা সুজনের শেল্টারেই এ যাবৎ পর্যন্ত মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছে।কর্ণকাঠী এলাকার এক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, এর আগেও শাওনকে মাদক সহ আটক করলেও ফোনে ফোনে সুজনের সাথে রফাদফা করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বহুবার।

তবে এবার কেন রফাদফা করে নিজের সহযোগীকে ছাড়াতে পারলো না তার সঠিক কারন জানা যায় নি। মোঃশাওন শিকদার আরিফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে চাকুরী করতো, তবে সুজন তার চাকরি ছাড়িয়ে দিয়ে তার সাথে রেখে আসছে। এবং নানান অপকর্ম করিয়ে অল্প সময়ে তাদের আঙুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে।

জানা গেছে,গত ১৮ মে বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানার এস আই/সামসুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি চৌকস অভিযানিক টিম বন্দর থানাধীন ০৭নং চরকাউয়া ইউপির ০৯নং ওয়ার্ড কর্ণকা‌ঠি সাকিনস্থ ‌হিরণপ‌য়েন্ট মোড় ভোলা-ব‌রিশাল সড়‌কে অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান পরিচালনায় বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজনের অনুসারী কুখ্যাত মাদক সম্রাট মোঃ শাওন সিকদার (২৯),পিতা- মোঃ মাহবুব সিকদার,সাং-চরকাউয়া, ০৩ নং ওয়ার্ড, থানা- বন্দর, জেলা- বরিশালকে ৬০০ (ছয়শত) পিচ ইয়াবা সহ আটক করে।

এসময় মাদক বিক্রির কা‌জে ব‌্যবহৃত ১৫০ সি‌সি মোটর সাই‌কেল ও ২,৮০০/- টাকা জব্দ করা হয় ।এ বিষয়ে বন্দরথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ মো আসাদুজ্জামান জানায়, ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এই মাদক ব্যবসায়ীর সাথে কারা কারা জড়িত তাদেরকেও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরদিকে, মাদক সম্রাট মোঃশাওন শিকদারের পরিবার অভিযোগ করে, শাওন আরিফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে চাকুরী করা অবস্থায় ভালো ছিলো। কখনো এসবের সাথে জড়ায় নি।সুজন তার রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করার কথা বলে চাকরি ছাড়িয়ে তার সাথে রেখে দেয়ার পর পরই ছেলেটা খারাপ পথে পা বাড়িয়েছে।

শাওনের পরিবার সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ র কাছে বিচার চেয়ে আকুতি জানায়, তার সন্তানকে দিয়ে কারা এসব খারাপ কাজ করাতে চাকরি ছাড়িয়েছে। শাওনকে দিয়ে মাদক ব্যবসা কারা করায় তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শাস্তি প্রদান করার দাবী জানায়। এরকম যেন কারো প্ররোচনায় না পরে ধ্বংসের পথে আর কেউ যাতে পা না বাড়ায়।

আরও খবর

Sponsered content