রাজনীতি

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামকে দিতে নিয়ে আসা ফুল ছিঁড়ে ফেলেন নিরব-শয়নের অনুসারীরা

  প্রতিনিধি ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২:৪৬:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে ফুল দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে এসেছিলেন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।সেখানে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারীরা তাঁদের হেনস্তা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।একপর্যায়ে শয়নের অনুসারীরা সাদ্দামকে দিতে নিয়ে আসা ফুল ছিঁড়ে ফেলেন বলেও দাবি সলিমুল্লাহ মেডিকেলের নেতাদের।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন,ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার নিরব ও বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান নিবিরের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী রোকেয়া হলের সামনে আসেন।সেখানে তখন সলিমুল্লাহ মেডিকেল থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতারা দাঁড়িয়ে ছিলেন।ঢাবির ছাত্রলীগ নেতারা তাঁদের জিজ্ঞেস করেন,ফুলের তোড়া কাকে দিতে এনেছেন।জবাবে সলিমুল্লাহ ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামকে দিতে এনেছেন।ঢাবি ছাত্রলীগের নেতারা তখন বলেন,ফুল দিতে হলে পার্টি অফিসে যান বা বাসায় যান।এই বলে তাঁরা ফুলের তোড়া কেড়ে নিয়ে ফেলে দেন।নিরব ও নিবির শয়নের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দুর্জয় পাল বলেন,তিনটি ফুলের তোড়া নিয়ে গিয়েছিলাম।আমাদের কমিটি হয়েছে ৩১ জুলাই।আগস্ট মাস থাকায় শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারিনি।তাই গতকাল গিয়েছিলাম।দেখি ঢাবি শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে আমাদের নারী কর্মীদের জিজ্ঞেস করা হয়,আপনারা কারা?কোত্থেকে এসেছেন?তখন আমরা গিয়ে কথা বলি,নিজেদের পরিচয় দিলে আমাদের হাতে থাকা ফুল ফেলে দেয় এবং বলে দ্রুত এখান থেকে চলে যান।অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা চলে আসি।পরে শহীদ মিনার এলাকায় ভাইকে (সাদ্দাম) দেখতে পেলে নতুনভাবে ফুল কিনে শুভেচ্ছা বিনিময় করি।ভাই বিষয়টি দেখবেন বলেও জানিয়েছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে মেহেদী হাসান নিবির বলেন,আমি অসুস্থ। মেডিকেলে যাচ্ছিলাম রিকশায় করে,তখন তাদের সঙ্গে কথা হয়,পরিচয় জেনেছিলাম।পরে আমি মেডিকেল থেকে ফিরে এসে দেখি ছেঁড়া ফুল পড়ে আছে।আমি ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না।সামনে কমিটি হলে যেন আমি বঞ্চিত হই,এ জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

শাহরিয়ার নিরব বলেন,আমি দুই দিন ধরে ক্যাম্পাসে নেই। ওই জায়গায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।’

মাজহারুল কবির শয়ন জানান,ঘটনা জানি না।খোঁজ নিচ্ছি।’ এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটিতে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ‘ম্যান’ কম পদায়ন করা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছাত্র সমাবেশে বক্তব্যের সুযোগ না দেওয়া,অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাবি ছাত্রলীগের অধীনে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা,হল শাখা ছাত্রলীগে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের পদায়ন করতে না চাওয়া এবং ঢাবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বহিষ্কার/অব্যাহতির ঘটনা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাবির বিরোধ চলছে।এর জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

আরও খবর

Sponsered content