প্রতিনিধি ২২ অক্টোবর ২০২২ , ১:১৭:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে তৎকালীন বিএনপি জামাত জোট সরকার চাতুর্যের সঙ্গে বিরোধী দলের ওপর নির্মম নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছিলো।গ্রেফতার নির্যাতনের শিকার হয়েছিলো হাজার হাজার মানুষ যাদের সিংহভাগই ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। বিনাবিচারে ৫৮ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। বিচারবহির্ভূত সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি।

আওয়ালী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল বোস, সাবেক হুইপ মোস্তফা রশিদী সুজা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তালুকদার আব্দুল খালেক এমপির মতো সিনিয়র নেতাদের সেনাবাহিনী গ্রেফতার করেছিলো।
সেনা সদস্যরা দলের প্রেসিডিয়ামের প্রভাবশালী তিন সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদকে গ্রেফতার করার জন্য একাধিকবার তাদের বাসায় অভিযান চালায়।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও যৌথ বাহিনীর অন্যতম টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন। দলের আরো বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা এ সময় আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
সংবিধান অনুসারে একজন ভয়ঙ্কর অপরাধীরও আদালতের কাছে বিচার চাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু বিএনপি-জামাত সরকার অসাংবিধানিকভাবে দায়মুক্তির অধ্যাদেশ জারি করে হত্যা-নির্যাতনের শিকার মানুষগুলো যাতে বিচার চাইতে না পারেন সেই ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছিলো।

















