রাজনীতি

গোলাপ ফুল মার্কা জয়ী হলে উন্নয়ন হবে বরিশালের- স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী, বাচ্চু

  প্রতিনিধি ৫ জুন ২০২৩ , ১:৩৮:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

রবিউল ইসলাম রবি॥ “সমৃদ্ধ মেগাসিটির স্বপ্ন পূরণে, ভোট দিন গোলাপ ফুলে” এই শ্লোগান নিয়ে বরিশাল নগরীর নানা অলি-গলিতে গনসংযোগের পাশাপাশি হ্যান্ড লিফলেট বিতরণ করছেন জাকের পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চুসহ তার নেতা কর্মীরা।প্রার্থীসহ সমর্থকদের দাবী নগরী উন্নয়নে জাকের পার্টি দলের বিকল্প নেই। গোলাপ ফুল মার্কা মেয়র পদ প্রার্থীকে একাধিক প্রশ্ন করলে তিনি যুক্তিগত তথ্য উপস্থাপন করে উত্তর দেন।

১.প্রশ্নঃ বরিশাল নগরীর মানুষ আপনার গোলাপ ফুল মার্কায় ভোট কেন দিবে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তরঃ ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এবং বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর ৩০টি ওয়ার্ডের গঠন ও সীমানা নির্ধারণে অগ্রণী ভূমিকা পালন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত বরিশাল সদর ইউ.সি.সি এ ও ব্যাংক লিঃ এর কার্যনির্বাহী পরিষদ (এডহক কমিটি) এর সহ-সভাপতিসহ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন। ১৯৮৯-৯০ সনে বরিশাল সদর উপজেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ এসোসিয়েসন (বি.আর.ডি.বি) এর নির্বাচন কমিটির সভাপতি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বরিশাল সদর উপজেলার ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন। ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বরিশাল হাউজিং প্রকল্পের সদস্য। চহুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ১৯৮৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (আজীবন )। ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত কাশীপুর কুটির শিল্প প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কাশীপুর কৃষক সমবায় সমিতি লিঃ এর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বরিশাল সদর উপজেলা ভূমি সংস্কার কমিটির সদস্য। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত গ্রাম সরকার প্রধান হয়ে দায়িত্ব পালন ও ১৯৮১-৮২ সালে বৃহত্তর বরিশাল জেলার ব্যক্তিগত নামে এবং সংগঠনিক পর্যায়ে প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত লাকুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (পি.আর.সি) এর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। এসকেন্দার শরীফ প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৎপুর, কাশীপুর এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলাম ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত । ১৯৬৯ সাল থেকেই দেশের বিভিন্ন ক্লাব, সমিতি, পাঠাগার, বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয়ভাবে জড়িত হই। ওই সময়ে বরিশালে বসবাস করা সিংহ ভাগ জনগনই উপরোক্ত কার্যক্রম সম্পর্কে জানেন। তাই জনগনের চাওয়া-পাওয়ার মূল্যায়ন দিতে জননেতা হবার জন্য জাকের পার্টির মনোনিত প্রার্থী হয়ে মেয়র পদে (গোলাপ ফুল মার্কা) নির্বাচনে নেমেছি।

২.প্রশ্নঃ আপনি জাকের পার্টিতে কখন কি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ?
উঃ জাকের পার্টি গঠন থেকে প্রথমে জেলার আহবায়ক, পরে জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব ছিলাম। আবার ২০০১ সাল থেকে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাই। এবং গত ১৩-০৫-২০০৬ তারিখে যুগ্ম মহাসচিব এর দায়িত্ব গ্রহণ। ২৯-০৯-২০০৬ তারিখে অতিরিক্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণসহ কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও স্থায়ী কমিটির সদস্য হই। ২০০৮ সাল থেকে জাকের পার্টি বরিশাল জেলা, মহানগর ও বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।

৩. নির্বাচনী প্রচারণায় কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা?
উঃ নগরীর বাজার রোড, পোর্ট রোড, লঞ্চঘাট ও বিএম কলেজ এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে রাখা গোলাপ ফুল মার্কার ব্যানারগুলো রাতের আধাঁরে কে বা কারা যেন খুলে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক স্থানে গোলাপ ফুল মার্কার পোস্টার ছিড়ে ফেলে দিয়েছে। পোস্টার নিয়ে অস্থিকর পরিবেশ সৃস্টি করেছে।

৪.এখন পর্যন্ত আপনি বা আপনার বিরুদ্ধে কেউ কোন দপ্তরে আবেদন করেছে কিনা?
উঃ রাতের আধাঁরে গোলাপ ফুল মার্কার পোস্টার নিয়ে যাওয়া ও ছিড়ে ফেলার বিষয়টি রির্টানিং কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এবং বিষয়টি র‌্যপিড এ্যাকশ ব্যাটালিয়ন-৮ কেও জানানো হয়েছে। আমিসহ আমার নেতা কর্মীরা এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে লিখিত আবেদন দেয়নি। আর জানামতে, আমার বিরুদ্ধে কেউ দেয়নি। কেননা, নির্বাচনী আইন মেনেই গোলাপ ফুল মার্কার প্রচারণা চলছে।

৫. আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আপনার মনের উপলব্ধী কি ?
উঃ নির্বাচন সুষ্ঠু হলে গোলাপ ফুল মার্কা জয়লাভ করবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ, দেশের মানুষ বিভিন্ন দলের নেতাদের কাল্পনিক বক্তব্য শুনতে শুনতে এখন সচেতন হয়েছে। তাই এখন নতুন দলের নতুন প্রার্থী চায়। আর সেটাই হল গোলাপফুল মার্কা।

৬.মেয়র পদে নির্বাচিত হলে প্রথমে আপনি কি কি কার্যক্রমের উদ্দ্যোগ নিবেন ?
উঃ আমি জনপ্রতিনিধি থাকার সময় বরিশাল নগরীর লাকুটিয়ার খাল,জেল খাল,সাগরদি খালসহ একাধিক খালগুলোতে পানি চলাচলের জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে একাধিবার খনন করিয়েছিলাম।যে পানি মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষকরা কৃষি কাজে ব্যবহার করত।সেই খালগুলো মরে গেছে।ঠিকমত পানি চলাচল করতে পারে না। ময়লায় ভরে রয়েছে।অনেক জননেতা আসলেও খালগুলোর অস্থিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে।এরপর নগরীর বর্ধিত এলাকার উন্নয়নসহ জনকল্যাণমূলক সেবাই হবে কার্যক্রম।

আরও খবর

Sponsered content