প্রতিনিধি ২৪ জুন ২০২৩ , ৪:২৬:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন,গরুর ট্রাক নিয়ে হাটে টানা-হেঁচড়া করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রোজার ঈদে যেভাবে মানুষ নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছে সেই কথা মাথায় রেখে এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি।

শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পুলিশ প্রধান বলেন,অন্যদিকে পশুবাহী ট্রাক সড়ক-মহাসড়কে এবং নৌকা যাতায়াত করবে নদীতে।এ ছাড়াও যেহেতু এখন মৌসুমি ফলের সময় তাই সে গাড়িগুলোও আসবে।সব কিছু বিবেচনায় রেখেই বিভিন্ন মুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দপ্তর,সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রীর দপ্তর,রেলওয়ে মন্ত্রণালয়,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,পুলিশ হেড কোয়াটার্স,ডিএমপি প্রত্যেকটি জেলায় মালিক,শ্রমিকসহ সকল স্টেক হোলডারদের সঙ্গে মিটিং করা হয়েছে।জেলা প্রশাসকরাও মিটিং করছেন।আমরা সবাই এক সঙ্গে একযোগে কাজ করছি।আসা করছি এবারও সকলের সহযোগীতায় যথাসময়ে সমগ্রযাত্রী সাধারণকে তাদের গন্তব্যে যাতায়াত নির্বিগ্ন করতে সক্ষম হবো।
এর আগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন।এ সময় হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহবুদ্দি খান,ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি (অপারেশন) হায়দার আলী খান,পুলিশ হেডকোয়াটার্সের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি আরও বলেন,আগে মহাসড়কে যেমন খানা-খন্দ বেশি ছিল।রাস্তার খুব দুরাবস্থা ছিল।সে অবস্থা থেকে বর্তমান অবস্থা অনেক ভালো।উন্নয়নের অনেক কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।তারপরেও ঈদে ঘরমুখে মানুষের যাত্রাপথ যাতে স্বাচ্ছন্দ হয় সে জন্য সকলে মিলে কাজ করছি।পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,ডিআইজি,এডিসনাল ডিআইজি লেভেলের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে যাত্রী সাধারণের গমন নির্বিগ্ন করার জন্য সর্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।
তিনি বলেন,এবারেও গরুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অটুট থাকবে।কোনো কোনো সময় দেখা যায় বিভিন্ন গরুর হাটে টানা-হেঁচড়া এবং চাঁদাবাজি হয়। এ ক্ষেত্রে যদি কেউ কোনো ট্রাক বা নৌকা যে গন্তব্যে যাবে ওই গন্তব্যের আগে থামাতে চায় তাদের আইনানুগভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অনুগ্রহ পূর্ব ওই কাজটি কেউ করতে যাবেন না,গেলে আইনের যে প্রয়োগ করার দরকার সেই প্রয়োগ করা হবে।গরুর হাটের ইজারাদার এবং ব্যবসায়ীরা যদি কেউ কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হন কাছের পুলিশের সহায়তা নিন।অথবা কাছাকাছি কাউকে না পেলে ৯৯৯ এ ফোন করুন।আপনারা আমাদের সহায়তা নিন,আমরা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত আছি। ঈদের সময় আইনশৃংখলা রক্ষা এবং যাত্রী সাধারণের যাতায়াত সুগম করার জন্য পুলিশ আপনাদের পাশে রয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।আমরা আশা করি গত ঈদের মতো এবারও সকলের যাত্রাপথ সুগম রাখতে পারব।অনেক সময় আবহাওয়ার কারেণ জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়।তারপরও যানজটের বিষয়ে যে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে আমরা রাস্তায় থেকে আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করব।
এক প্রশ্নের জবাবে জাল টাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,জাল টাকা আইডিন্টি ফিকেশনের যে মেশিন আছে তা আমাদের কাছে থাকবে।কারো যদি সহায়তা প্রয়োজন হয় আমাদের সহায়তা নিতে পারবেন।

















