রাজনীতি

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে শামসুল ইসলামকে নিয়োগ

  প্রতিনিধি ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৫:২৮:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলামকে দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি।

বুধবার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শামসুল ইসলামকে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শামসুল ইসলাম বিএমএ ২১ লং কোর্স শেষে ১৯৮৯ সালে কমিশন লাভ করেন।

কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ থেকে পাস করার পর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক,ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে মাস্টার্স ইন ডিফেন্স স্টাডিজ,ফিলিপাইন ক্রিশ্চিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যানজেমেন্টে মাস্টার্স এবং বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব প্রফেশনালস থেকে মিলিটারি টেকনোলজিতে মাস্টার্স এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গত ২৩ নভেম্বর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।২৭ নভেম্বর তার ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিলে কেবিন থেকে ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে’ স্থানান্তর করা হয়।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।এর মধ্যে রয়েছে লিভার সংক্রান্ত জটিলতা,কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা,হৃদরোগ,উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আথ্রাইটিস ও ইনফেকশনজনিত সমস্যা।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলেছে, “গত কয়েক দিনের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার স্বাস্থ্যে বেশ কিছু জটিলতা পরিলক্ষিত হয়।তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া,রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

“কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ফুসফুস ও অন্যান্য অর্গানকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য তাকে ‘ইলেক্টিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে’ নেওয়া হয়।”

অন্যদিকে ২০০৭-০৮ সালের সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার মত তার বড় ছেলে তারেক রহমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।মুক্তি পাওয়ার পর তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে চলে যান,দেশে আর ফেরেননি।

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে আসবেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরও খবর

Sponsered content