অপরাধ-আইন-আদালত

কোনাবাড়িতে যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা, আদালতে মামলা

  প্রতিনিধি ৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১:৫৩:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

গাজীপুর প্রতিনিধি।।গাজিপুর সদর উপজেলার কোনাবাড়ি এলাকায় মোছাঃ নুপুর আক্তার সোমাইয়া (১৯)নামে এক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।মঙ্গলবার দুপুরে ওই যুবতী নিজেই বাদী হয়ে মোঃ রিফাত ইসলাম সাকিব নামে যুবকের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল,গাজীপুরে মামলা দায়ের করেছেন।নারী ও শিশু মামলা নং- /২৪।

মামলা সূত্রে জানা যায়,মোঃ রিফাত ইসলাম সাকিব (২৩)পিতা- মোঃ রুবেল মিয়া, কোনাবাড়ী আমবাগ নগর মার্কেট ওয়ার্ড নং-১১,থানা- মেট্রো কোনাবাড়ী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একজন বাসিন্দা।

কোনাবাড়ী হকার্স মার্কেটে সাকিব কসমেটিক্স নামে ব্যবসার দোকান আছে।উক্ত দোকানে কসমেটিক্সের প্রসাধনী সামগ্রী কেনার সূত্র ধরিয়া তার সাথে যুবতীর পরিচয় ঘটে।পরিচয়ের একপর্যায় যুবতীও তার মধ্যে আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে প্রেম ভালোবাসা জন্ম নেয়।দিন দিন প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক গভীর থেকে গভীরতর থাকাবস্থায় সে প্রায় সময়ই যুবতীকে নিয়া বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করার জন্য প্রস্তাব দিত।

প্রাথমিক ভাবে যুবতী উক্ত প্রস্তাবে সম্মতি না দিলেও এক পর্যায়ে তার সুচতুর সুমধুর কথায় বিশ্বাস স্থাপন করিয়া তার সহিত বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করিতে যাই এবং নিরাপদে বাসায় পৌঁছাই দিয়ে যুবতীর মনে বিশ্বাস স্থাপন করে।

ঘটনার দিন তারিখ ও সময়ে অর্থাৎ বিগত ০৩/০৩/২০২৪ ইং তারিখে রোজ রবিবার দুপুর আনুমানিক ১২.০০ ঘটিকার সময় অভিযুক্ত সাকিব যুবতীর ভাড়া বাড়িতে আসে এবং বিবাহের প্রস্তাব দিয়া যুবতীর সহিত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তাব করিলে সহজ সরল ভাবে তার কথায় আশ্চার্যন্বিত হয়ে যায়।তখন সে অনেক অনুনয় বিনয়ের মাধ্যমে ভালবাসার ছলনায় আকৃষ্ট করিতে চেষ্টা করে।যুবতী কোন ভাবেই তার উক্ত অবৈধ প্রস্তাবে রাজী না হইয়া পারিবারিক ভাবে তার মায়ের নিকট বিবাহ প্রস্তাব নিয়া যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে।কিন্তু সুচতুর সে উক্ত প্রস্তাব কৌশলে এড়াইয়া যাইয়া বিভিন্ন রকম লোভ লালসা দেখাইয়া যুবতীকে অনৈতিক কাজে রাজী হওয়ার জন্য আবারও প্রস্তাব দেয়।

যেহেতু,যুবতী তার উক্ত প্রস্তাবে কোন মতই রাজী না হইলে সে যুবতীকে অবৈধ ভাবে চাপ সৃষ্টি করেন এবং ঐখানেই যুবতীকে মৌখিক ভাবে কবুল বলিয়া যুবতীর হাত ধরিয়া অঙ্গীকার করেন যে,তার জীবন থাকিতে সে আমাকে ছেঁড়ে । যাবে না।বাঁচিলেও একসাথে বাঁচিবে মরিলেও এক সাথে মরিবে।এই কথা বলিয়া ঝাপটাইয়া ধরিয়া জোর পূর্বক ভাবে যুবতীর সহিত অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করিলে যুবতী ডাকচিৎকার শুরু করিয়া কান্নাকাটি করিলে উপস্থিত লোকজন যুবতীকে উদ্ধার করেন।তখন সে এলাকার লোকজনের সম্মুখে মৌখিকভাবে অঙ্গীকার করেন যে,উভয় পরিবারের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে আমার সহিত মুসলিম শরা-শরিয়তের বিধান মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইবে।

পরবর্তীতে উক্ত ঘটনা নিয়া স্বাক্ষীগণ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তার বাড়ীতে গেলে সে ও তাহার পরিবারের লোকজন উক্ত প্রস্তাবে রাজী না হইয়া স্বাক্ষীগণ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহিত খারাপ আচরন করে বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেন।

পরবর্তীতে উক্ত বিষয়টি নিয়া যুবতী কোনাবাড়ী মেট্রো থানায় তার বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ যুবতীকে বিজ্ঞ আদালতে মোকদ্দমা করার পরামর্শ প্রদান করেন।পরবর্তীতে আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমেও ফয়সালা করার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হয়ে।যুবতী বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আরও খবর

Sponsered content