প্রতিনিধি ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৮:৪৯:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
কুয়াকাটা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নিজ বাড়িতে যৌনকর্মীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর নৈতিকতার মুখোশ খুলে পড়েছে।এ অভিযোগে কুয়াকাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মো. আব্দুল হালিমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে,অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং তাকে জামায়াতে ইসলামীর সকল পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নৈতিকতার বুলি,বাস্তবে ভিন্ন চিত্র
যে দলটি বছরের পর বছর নৈতিকতা,চরিত্র ও ইসলামী মূল্যবোধের কথা বলে রাজনীতি করে,সেই দলের স্থানীয় সভাপতির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয়রা জানান,দীর্ঘদিন ধরেই মো. আব্দুল হালিমের বাড়িতে অস্বাভাবিক যাতায়াত নিয়ে নানা গুঞ্জন ছিল।সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে দলীয় পর্যায়েও চাপ বাড়ে।
দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষায় বহিষ্কার
জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে,
> “দল কোনো অনৈতিক কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয় না। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তবে সমালোচকদের মতে,ঘটনা ফাঁস না হলে হয়তো বহিষ্কারও আসত না—এমন প্রশ্নও এখন উঠছে।
প্রশ্নবিদ্ধ ‘নৈতিক রাজনীতি’
এই ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—
নৈতিকতার নামে রাজনীতি করা দলগুলোর ভিতরের বাস্তবতা কতটা স্বচ্ছ?
দলীয় পদ-পদবি কি অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে?
এলাকাবাসীর কণ্ঠে এখন একটাই কথা—
“জান্নাতের টিকিট বিলি করার আগে নিজেদের আয়নায় তাকানো দরকার।”
















