আন্তর্জাতিক

কঙ্গনাকে চড় মারার জের:- মায়ের সম্মান রক্ষায় এমন হাজারো চাকরি ছাড়তে পারি-কুলবিন্দর কৌর

  প্রতিনিধি ৭ জুন ২০২৪ , ৪:৫৫:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।’চাকরির পরোয়া করি না। মায়ের সম্মান রক্ষায় এমন হাজারো চাকরি ছাড়তে পারি।” ভারতজুড়ে কঙ্গনা রানাউতের চড় খাওয়া নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে এক্সে এমন পোস্ট করেছেন সেই নারী কনস্টেবল কুলবিন্দর কৌর।

বলিউড তারকা ও লোকসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য কঙ্গনাকে চড় মারার জেরে এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) কনস্টেবল কুলবিন্দরকে।

এনডিটিভি জানায়,কৃষক আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের অপমান করে বক্তব্য দেওয়ার কারণেই কঙ্গনা রানাউতকে চড় মেরেছিলেন কুলবিন্দর।

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে বিজেপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা।বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে দিল্লির ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করার সময় তাকে চড় মারার ওই ঘটনা ঘটে।এর কয়েক ঘণ্টারমধ্যেই কুলবিন্দরকে বরখাস্ত করে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় কুলবিন্দরকে।

বৃহস্পতিবার ঘটনাটির ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর পাঞ্জাবের বাসিন্দা কুলবিন্দর বলেন,২০২০ সালে মোদী সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলমান কৃষক আন্দোলন নিয়ে বেশকিছু মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা।এ কারণে তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি।এই ক্ষোভ থেকেই তিনি কঙ্গনাকে চড় মারেন।

কুলবিন্দর আরও বলেন, “নারীরা ১০০ টাকায় কৃষক আন্দোলনে গিয়েছিল বলে কঙ্গনা মন্তব্য করেছিলেন।উনি কি সেখানে গিয়ে বসবেন?আমার মা বসেছিলেন সেখানে,যখন উনি (কঙ্গনা) এমন মন্তব্য করেছিলেন।”

চড় খাওয়া নিয়ে এক্সেকঙ্গনা বলেছেন,ওই নারী কৃষক আন্দোলনের সমর্থক।তাই তাকে আক্রমণ করেছেন।

একটি ভিডিও বার্তায় কঙ্গনা বলেন,“চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশির পর আমি যখন বেরোলাম,পাশের একটি কেবিন থেকে এক নারী নিরাপত্তারক্ষী বেরিয়ে এসেআমার গালে থাপ্পড় মারেন।আমাকে গালিগালাজও করেন।আমি যখন জিজ্ঞেস করলাম,কেন উনি এমন করলেন;উনি বললেন,উনি কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেন।আমি নিরাপদে আছি। কিন্তু পাঞ্জাবে যেভাবে আতঙ্ক ও উগ্রবাদ বেড়ে চলেছে,সেটি কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’’

কে এই কুলবিন্দর কৌর?

কুলবিন্দর পঞ্জাবের সুলতানপুর লোধির বাসিন্দা।২০০৯ সালে সিআইএসএফেযোগ দিয়েছিলেন।গত তিন বছর ধরে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কর্মরত ছিলেন তিনি।

২০২১ সালে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে বিমান নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করেছেন।কুলবিন্দরের স্বামীও সিআইএসএফ জওয়ান। তিনিও চণ্ডীগড় বিমানবন্দরেই কর্মরত।৩৫ বছর বয়সীকুলবিন্দরের দুই সন্তান রয়েছে।তার ভাই শের সিংহ একজন কৃষক নেতা। ‘কিষাণ মজদুর সংগ্রাম কমিটি’র সম্পাদক তিনি।

সিআইএসএফ কর্মকর্তারা বলছেন,এখন পর্যন্ত বাহিনীতে কুলবিন্দরকে কোনোতদন্তের মুখে পড়তে হয়নি।কোনোশাস্তিও পেতে হয়নি তাকে।কঙ্গনাকে চড় মেরে এই প্রথম তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content