সারাদেশ

এবারের অনুষ্ঠানে প্রতিপাদ্য স্লোগান ছিল, ‘একুশের উচ্চারণ, দূর হ দুঃশাসন

  প্রতিনিধি ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৫:০২:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের অনুষ্ঠানের ব্যানারে লেখা ছিল ‘একুশের উচ্চারণ,দূর হ দুঃশাসন’; পরে ‘পুলিশি বাধায়’ সেটি কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ করেছেন আয়োজকরা।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে ব্যানারটিতে কালো কাপড় লাগানো হয়৷পরে এ অবস্থাতেই শহীদ মিনারে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা চলে৷

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ বলেন,“আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরই নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট শহীদ মিনারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে৷এ অনুষ্ঠানে জোটভুক্ত সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো গান,নৃত্য,নাটক,আবৃত্তি পরিবেশন করে৷

“এবারের অনুষ্ঠানে প্রতিপাদ্য স্লোগান ছিল, ‘একুশের উচ্চারণ, দূর হ দুঃশাসন’৷এ শহরে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর মতো মেধাবী ছাত্র হত্যা হয়৷সেই হত্যার বিচার বছরের পর আটকে থাকে৷আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়৷এটা তো একধরনের দুঃশাসনই৷সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের স্লোগান ছিল এটি৷ কিন্তু পুলিশ তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়৷”

“দুপুরে পুলিশ এসে ব্যানারটি খুলে ফেলার নির্দেশ দেয়৷তারা জানায়,আমাদের স্লোগান নিয়ে উপর মহলের আপত্তি আছে৷ আমরা ব্যানার না সরিয়ে আমাদের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ব্যানারে কালো কাপড় বেঁধে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি৷ এটাও এক ধরনের প্রতিবাদই৷ মত প্রকাশ না করতে পারা দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ কালো কাপড়৷”

জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায় বলেন,একুশ আমাদের সাহস জোগায়৷একুশের সাহসে একাত্তরে এদেশ স্বাধীন হয়েছে৷ একুশ থেকে একাত্তর পর্যন্ত প্রতিবাদী অনেক গান, কবিতা রচিত হয়েছে৷এখন সেসব গান-কবিতা আবৃত্তি করলেও তো দেখছি সমস্যা হবে৷নিজের গায়ে নিলে তো কোনকিছুই করা যাবে না৷ পুলিশের এমন কর্মকাণ্ড মতপ্রকাশে হস্তক্ষেপেরই নিদর্শন।“

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা রফিউর রাব্বি বলেন, “একুশের চেতনাই হচ্ছে,যেকোনো দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস৷ একুশ আমাদেরকে সে সাহস জোগায়৷ বাংলাদেশে যে সুশাসন চলছে না সেটা সারাদেশ ও বিশ্ববাসী জানে৷ সেই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে উচ্চারণই ছিল ব্যানারে৷পুলিশ তাতে বাধা দিয়ে যে কাণ্ড ঘটিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।“

এ বিষয়ে জানতে সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ‘অনুষ্ঠানে আছেন’ জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন৷

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইদুজ্জামান বলেন, “আমি এ বিষয়ে জানি না৷ ওই ঘটনার সময় আমি ছিলাম না৷ব্যাপারটি জেনে তারপর মন্তব্য করতে পারবো৷”

আরও খবর

Sponsered content