প্রতিনিধি ২৫ নভেম্বর ২০২৫ , ৫:৫২:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কোমি এবং নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেতিজিয়া জেমসের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন মার্কিন এক বিচারক।

তার মতে,যিনি অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি আইনি দৃষ্টিতে অবৈধভাবে ওই পদে নিয়োগ পান।
বিচারক ক্যামেরন কারি রায়ে বলেন,লিন্ডসে হ্যালিগানকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করেন।কিন্তু কখনওই ওই দায়িত্ব গ্রহণের যোগ্য ছিলেন না হ্যালিগ্যান।
জেমস কোমি এবং লেতিজিয়া জেমস দু’জনই অভিযোগগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছিলেন।
রায়ের পর হোয়াইট হাউস জানায়,কোমি ও জেমসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বাস্তবতা বদলায়নি এবং এই রায়ই চূড়ান্ত কথা নয়।ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার কোমি ও জেমসকে আক্রমণ করে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “তারা সবাই পুরোপুরি দোষী। ” পরে যোগ করেন, “এখনই ন্যায়বিচার হওয়া চাই!!!”
হ্যালিগান ছিলেন হোয়াইট হাউসের সাবেক সহকারী।
তিনি আগে কখনও কোনও মামলা পরিচালনা করেননি। বিচারক কারি লিখেছেন,তিনি গ্র্যান্ড জুরির সামনে অভিযোগ উপস্থাপনের অনুমোদন পাননি।রায়ে বলা হয়,“হ্যালিগানের ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ থেকে উদ্ভূত সব কার্যক্রম অবৈধ নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ এবং সেগুলো বাতিল ঘোষণা করা হলো। এর মধ্যে কোমির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করাও অন্তর্ভুক্ত।
”
হ্যালিগানকে এরিক সিবার্টের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল।ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের মুখে কোমি ও জেমসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার নির্দেশের পর সেপ্টেম্বরে পদত্যাগ করেন সিবার্ট। বিচারক জানান,হ্যালিগানের নিয়োগ অন্তর্বর্তী মার্কিন অ্যাটর্নি নিয়োগবিষয়ক আইনের লঙ্ঘন।
আইন অনুযায়ী,অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে ১২০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ থাকে।এই সময়সীমা শুরু হয় ২১ জানুয়ারি,সিবার্টকে অন্তর্বর্তী অ্যাটর্নি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দিন থেকে।
২১ মে ১২০ দিনের সীমা শেষ হয়ে যায়।এরপর অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা আর থাকে না।ফলে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে হ্যালিগান ‘অবৈধভাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন,’ বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
মামলা খারিজ হয়েছে ‘উইদাউট প্রিজুডিস’ অর্থাৎ আইন মন্ত্রণালয় চাইলে ভবিষ্যতে আবার মামলা করতে পারে। হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, আইন মন্ত্রণালয় খুব শিগগিরই খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করবে।তার দাবি,হ্যালিগানের নিয়োগ আইনসম্মত ছিল এবং কোমি ও জেমসকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বিচারক।
রায়ের পর কোমি বলেন,বিদ্বেষ ও অদক্ষতার ভিত্তিতে করা এই মামলা শেষ হওয়ায় কৃতজ্ঞ।তবে আমি জানি,ট্রাম্প সম্ভবত আমাকে আবারও টার্গেট করবেন।
কোমিকে ট্রাম্প বরখাস্ত করেন প্রথম দফায় প্রেসিডেন্সির সময় ২০১৬ সালের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ তদন্ত করার পর।এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কোমির বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি ও বিচার ব্যাহত করার অভিযোগ আনা হয়।ট্রাম্প প্রকাশ্যে এর আহ্বান জানানোর পর নতুন ফেডারেল প্রসিকিউটর নিয়োগ করে এই অভিযোগ দাখিল করা হয়।
জেমস বিবৃতিতে বলেন,তিনি রায়ে উচ্ছ্বসিত।তার ভাষায়- আমি নির্ভীক। নিউইয়র্কবাসীর জন্য প্রতিদিন লড়াই করছি এবং এই ভিত্তিহীন অভিযোগ আমাকে থামাতে পারবে না। জেমসের বিরুদ্ধে ব্যাংক জালিয়াতি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।এর পর থেকেই তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। সূত্র: বিবিসি

















