জাতীয়

আজ বিকালে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  প্রতিনিধি ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩:১৮:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক(ভারত) থেকে।।জি ২০-র শুরুর আগের শুক্রবার অর্থাৎ আজ বিকালে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।৯ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে জি ২০ সম্মেলন শুরু হচ্ছে।এই শীর্ষ সম্মলনে নয়টি দেশকে ‘অতিথি দেশ’ হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। শীর্ষসম্মেলন শুরুর আগে দেশের মধ্যে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মলনে বলেন এই বৈঠকে তিনটি মউ স্বাক্ষর হবে।এই তিনটি মধ্যে রয়েছে, ১) কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা সহযোগিতা চুক্তি।কৃষিক্ষেত্রে গবেষণায় পারস্পরিক সহযোগিতাও আরও প্রসারিত করতে এই মউ স্বাক্ষর হবে।

২) সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি। এই চুক্তি ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছিল। তা বাড়িয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত করা হবে।

৩) ভারতের ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের মধ্যে একটি মৌ স্বাক্ষর হবে। এর ফলে দুদেশের মধ্যে রুপি ও টাকা লেনদেন আরও সহজতর হবে।

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন,’দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতি সম্পর্ক সুগভীর। প্রধানমন্ত্রী হাসিনার আমলে তা আরও সুগভীর হয়েছে।’

তবে মোদী-হাসিনার বৈঠকে তিস্তা চুক্তি উঠবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা তুলে নতুন করে নতুন করে অস্বস্তিতে পড়তে চাইবে না মোদী সরকার।

শনিবার সম্মেলনের শুরুর দিনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া নৈশ ভোজে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।তাঁর সঙ্গেও কথা হতে পারে হাসিনার।

জি-২০ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে রাজধানী দিল্লি। যেখানে হবে তার কাছেই রয়েছে ভারত মণ্ডপম।নাম দেওয়া হয়েছে কালচার করিডর-জি-২০ ডিজিটাল মিউজিয়াম।এই কালচার করিডরের মাধ্য়মে মূলত জি-২০ সদস্য দেশ ও আমন্ত্রিত দেশগুলির সাংস্কৃতিক হেরিটেজকেও তুলে ধরা হয়েছে।সেখানে বাংলাদেশেরও সংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে।

এটা মূলত বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে। তাদের সংস্কৃতির নানা দিককে এই মন্ডপমের মাধ্যমে উপস্থাপিত করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content