সারাদেশ

অনুমোদন ছাড়া কোথাও পশুর হাট বসানো যাবে না-বিভাগীয় কমিশনার

  প্রতিনিধি ১৯ জুন ২০২৩ , ৫:৫৫:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান বলেছেন,আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মলম পার্টি ও জাল নোট চক্র যাতে সক্রিয় হতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।যানজট নিরসনসহ জনভোগান্তি রোধে অনুমোদন ছাড়া কোথাও পশুর হাট বসানো যাবে না।

কোরবানির পশুবাহী কোনো গাড়ি মূল সড়কে দাঁড়াতে পারবে না।পশুর হাটে ইজারাদাররা সিসি ক্যামেরা ও জাল নোট সনাক্তকরণ মেশিন বসাতে হবে।

পশু কোরবানি পরবর্তী বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণ করতে হবে এবং চামড়ার পচন রোধে গরুর মালিককেই নিজ দায়িত্বে লবণের ব্যবস্থা করতে হবে।

সোমবার (১৯ জুন) সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এইদিন পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত চোরাচালান নিরোধ আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভা,বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা, বেসরকারি পর্যায়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র সমূহ মনিটরিং সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটির সভা,বিনিয়োগ ও ব্যবসা উন্নয়ন সহায়তা কমিটির সভা,বিভাগীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স সভা,জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণের সাথে সমন্বয় সভা,বিভাগীয় রাজস্ব সম্মেলন ও জেলা প্রশাসকগণের মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার।

সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও বিভাগের জেলা প্রশাসকগণের মধ্যে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪’ স্বাক্ষরিত হয়।

সভার পক্ষ থেকে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেনকে ফুল দিয়ে বদলীজনিত বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।একই সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অধীন ৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কারের (২০২২-২০২৩)- ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন বিভাগীয় কমিশনার। শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী,কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. শামীম আলম,বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. জামাল উদ্দিন ও অফিস সহায়ক মো. রফিকুল ইসলাম।শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তরা প্রত্যেকে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন,ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে।সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে আসা মাদক,অস্ত্রের চোরাচালান ও তেল পাচার রোধে সড়ক পথের পাশাপাশি নৌপথে টহল অব্যাহত রাখাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর নজরদারী করতে হবে। দুর্নীতি,সন্ত্রাস,মাদক,জঙ্গিবাদ ও চোরাচালানসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন থাকবে জিরো টলারেন্স। মিয়ানমারের কোনো নাগরিক বা রোহিঙ্গাও যাতে নতুন করে এদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। সরকারে দেওয়া নির্দেশনা অমান্য করা যাবে না।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন,আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টিমওয়ার্কের বিকল্প নেই।সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করেছি বলেই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সড়কে যানজট নিরসন ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধ রোধে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পৃথক সভাগুলোতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী,অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. আনোয়ার পাশা, সিএমপির অতিরিক্ত পুরিশ কমিশনার (প্রশাসন) এম.এ মাসুদ, বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল এস এম শফিকুর রহমান,বিডার পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন,মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ,জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান (চট্টগ্রাম),ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি (বান্দরবান),মোহাম্মদ শামীম আলম (কুমিল্লা),মো. শাহগীর আলম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মো. কামরুল হাসান (চাঁদপুর),দেওয়ান মাহবুবুর রহমান (নোয়াখালী),মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ (লক্ষ্মীপুর), আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান (ফেনী),মুহম্মদ শাহীন ইমরান (কক্সবাজার),মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (রাঙামাটি), মো. সহিদুজ্জামান (খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা),মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান পাটওয়ারী,বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উপ পরিচালক (স্থানীয় সরকার) শাহিনা সুলতানা প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content