প্রতিনিধি ২৬ আগস্ট ২০২২ , ১০:১৮:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:-বরিশাল সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাহেবের হাট বাজারে ফের দোকান চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় বন্দর থানায় চুরি মামলা দায়ের করেছে দোকানি আবুল কালাম। যার নং -১২/২২। এ মামলায় দুইজনকে আটক করলেও জড়িত নৈশপ্রহরি মোঃ মুনসুরকে ছেড়ে দিয়েছে বন্দর থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- বিশারদ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শাহীন হাওলাদার, দোকানদার সুদংশ।
জানা গেছে- গত রবিবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে এ চুরি সংগঠিত হয়েছে বলে প্রমান মিলেছে সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে। এ ঘটনা বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে গতকাল সোমবার সাহেবের হাট বাজারের নৈশপ্রহরি মোঃ মুনসুর ও শাহীনকে পুলিশ আটক করে। পরে নৈশপ্রহরি মুনসুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চোরাই মালামাল ক্রয় করার অপরাধে সাহেবের হাট চৌমাথার মুদি দোকানদার সুদংশকে আটক করা হয়েছে।
তবে অদৃশ্য ক্ষমতা বলে পুলিশের জাল থেকে বেরিয়ে যায় নৈশপ্রহরি মোঃ মুনসুর। সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে নৈশপ্রহরি মুনসুরের সম্পৃক্তা স্পষ্ট হলেও বিষয়টি এড়িয়ে যায় বন্দর থানা পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে- বর্তমানে দুইজন আটক রয়েছে। এদিকে বাজারের প্রধান রোডে চায়ের দোকান চুরি হওয়ান দোকানি আবুল কালাম মামলা দায়ের করেছে।
এব্যাপারে এএসআই নাইম বলেন- দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নৈশপ্রহরি মুনসুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে তদন্তে জড়িত থাকলে আবার মুনসুরকে আটক করা হবে। সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে নৈশপ্রহরি মুনসুরের সম্পৃক্তা স্পষ্ট হলেও তাকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি কিছুই জানিনা। আপনি এসআই শহীদুল স্যারের সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে এসআই শহীদুলকে বার বার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন- অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জাড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।
চুরি হয়ে যাওয়া দোকানদার আবুল কালাম জানান, আমার দোকানের তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন জিনিসপত্র, সিগারেট ও নগদ টাকা চুরি করে নেয় তারা। সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে নৈশপ্রহরি মুনসুরের সম্পৃক্তা স্পষ্ট দেখা গেছে, কিন্তু তাও পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
এরপূর্বেও বাজারটিতে বেশ কয়েকটি দোকান চুরি হয়েছে। বাজারে প্রায় ৮ শত দোকানীরা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে। বাজার ব্যবসায়ীরা বার চুরি হওয়ায় মূর্তিমান আতঙ্কে পরেছে।