প্রতিনিধি ২৯ মার্চ ২০২৪ , ৬:০০:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম#মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার নবগঠিত শ্রীপুর ইউনিয়নের ৩ গ্রামে স্কুল না থাকায়,৫ শতাধিক শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে জানাগেছে,বরিশালের সাবেক জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ২০১৫ সালের ৩০মার্চ ১০নং আলিমাবাদ ইউনিয়ন ৪১ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিভক্ত করে ২টি ইউনিয়নের ঘোষনা করেন।আলিমাবাদ ২৪ বর্গকিলোমিটার ইউনিয়ন ও ১৭ বর্গকিলোমিটার শ্রীপুর ইউনিয়ন গঠিত হয়।
উল্লেখ্য শ্রীপুর ইউনিয়নের মাসজিদ ২২টি মক্তব ১৪টি, আলিয়া মাদ্রাসা ১টি,কওমী মাদ্রাসা ৩টি,প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬টি,মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১টি,ছোট বাজার ৩টি সহ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।চরবগী,শ্রীপুর,বাহেরচর,চর ফেনুয়া, মিয়ায়চর,মহিষমারী,ইলিশা কোড়ালিয়া,ঘাঘরাটুমচর, লড়াইপুরচর ৯টি মৌজা ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ৫০ হাজার জনগন বসবাস করে।
শ্রীপুর গ্রামে ২টি, চরফেনুয়া গ্রামে ২টি, মিয়ারচর গ্রামে ১টি, চরবগী ১টি সহ ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে।
বাহেরচর গ্রামে ৭হাজার,লড়াইপুর ৩শ,মহিষমারী, ইলিশা কোড়ালিয়া,ঘাঘরা টুম চরে ৩হাজার ৭শ জনগন বসবাস করেছে।লড়াইপুর,ইলিশা কোড়ালিয়া,মহিষমারী,ঘাঘরাটুমচর বিছিন্ন এলাকা।চারদিকে নদী পরিবেষ্ঠিত হওয়ায় জনগনের কাঙ্খিত উন্নয়ন হচ্ছে না।ছোট ছোট প্রায় ৫শতাধিক শিশু আছে।ওই এলাকায় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।এ কারনেই শিক্ষার আলো বঞ্চিত শিশুরা।
এসব গ্রামের জনগন সরকারের কাছে বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।বর্তমান সংসদ সদস্য পংকজ নাথ আশ্বাস দিয়েও কোন বাস্তবায়ন করতে না পারায় জনগন হতাশা হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ গনি গাজী জানান,গরীবের ছেলে-মেয়ে পড়ালেখা করে দেশ ও জাতির কল্যানে সর্বশক্তি দেয়। সকারের উন্নয়নের পূর্বশর্ত শিক্ষার আলো প্রতিটি স্তরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া।কিন্তু এসব এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠা নেই।
মোঃ সেন্টু রাড়ী বলেন,দেশে শিক্ষাহার বৃদ্ধি হয়েছে বলে শুনা যাচ্ছে।৩টি গ্রামের কোন সন্তান শিক্ষার আলো পায়নি।তাহলে কি করে সরকার দাবি করেছে।এসব এলাকার প্রত্যেক পরিবারের একই অভিযোগ।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকলে সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
এব্যাপারে আওয়ামীলীগের নেতা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানান,এমপি পংকজ নাথ শ্রীপুরের স্কুল গাগরিয়া দেয়।কিন্তু ৫শতাধিক শিশুর শিক্ষার আলো পেতে তার কাছে একাধিকবার আবেদন করেছি।২টি স্কুল ২০১৪ থেকে পুর্ননির্মানের আশ্বাস দেয়।তবে তিনি বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা জনগন সন্ধিহান হয়েছে।
শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন,নয়টি কাম-সাইক্লোন সেল্টার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে এমপি পংকজ দেবনাথ আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
এবিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান, ড. শাম্মী আক্তার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দিয়েছে।স্থানীয় জনগন নিদিষ্ট স্থানে জমি দিলেই জরুরি ভিত্তিতে স্কুল স্থাপন করা হবে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোঃ আনিছুর রহমান বলেন,সরকার নিরক্ষরতা দূরীকরণে উদ্যোগ নিয়েছে। বিষয়টি আমরা দ্রুত সম্ভব সমাধানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে চিঠি পাঠাবো।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,শ্রীপুর ইউনিয়নের নয়টি কাম-সাইক্লোন সেল্টার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড শাম্মী আক্তার এমপি বলেছেন,অবশ্যই সকল স্তরের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে। নিরক্ষরতা দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শ্রীপুর ইউনিয়নে আরও তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করছি।
।