প্রতিনিধি ২৭ জুন ২০২২ , ৫:১২:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোলা জেলা প্রতিনিধি:-ভোলার সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বটতলা বাজার সংলগ্ন শহীদ মোল্লা বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী তরুণী বলেন-গ্রামপুলিশ সোহেল সিকদার শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় আমাগো ঘরে এসে আমারে বলে আমি তোমাকে বিয়ে করব এই কথা বলে আমারে জোর কইরা খাটের উরপে নিয়ে যায় আমি চিক্কুর দিলে আমার মুখ চাইপ্পা ধইরা জোর কইরা আমার পাজামা খুইল্লা আমারে ইয়ে করছে। পরে আমারে কইসে আমি তোরে ভালোবাসি আমি তোরে বিয়া করুম। আমি যা করছি তুই কেউরে কইসনা।
ভুক্তভোগীর বাবা শহীদ মোল্লা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন। আমার স্ত্রী পাঁচ বছর আগে মারা গিয়েছে, মাহারা প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাসায় রেখে জুম্মার নামাজ পড়তে গেলে আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে প্রতিবেশী ইউনিয়ন ১০নং আলিমাবাদ এর ৮নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সোহেল সিকদার আমার মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে এই জঘন্য ঘটনার আমি ন্যায্য বিচার চাই।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত গ্রাম-পুলিশ সোহেল সিকদার এর বাবা সাত্তার শিকদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার ছেলে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছে আমার ছেলে সোহেল সিকদারের ফোন বন্ধ এর জন্য কথা বলতে পারি নাই ঘটনা যদি সত্যি হয় এর উপযুক্ত বিচার অবশ্যই হবে।
এদিকে এলাকাবাসী বলেন গ্রাম পুলিশ সোহেল সিকদার খুবই খারাপ মানুষ এটা তার জন্য নতুন কিছু না বিগত দিন গ্রাম-পুলিশ সোহেল সিকদার এমন অনেক ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় ধামাচাপা দিয়েছে। শুধু ধর্ষণই নয় গ্রাম-পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত সহ এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবার ব্যবসা করে।
এ বিষয়ে আলিমাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন-গ্রাম-পুলিশ সোহেল অত্যান্ত খারাপ মানুষ ওর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আমার কাছে এসেছে।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন প্রাথমিক পর্যায়ে মামলার সত্যতা পাওয়ায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামি ধরার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে আশাকরি অতি শীঘ্রই আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।