প্রতিনিধি ২৯ আগস্ট ২০২২ , ৬:৩৮:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:-জালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে আকাশচুম্বি হয়ে ওঠে ডিমের দাম। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকায় কিনতে হয় ক্রেতাদের। ডিমে সিন্ডিকেটের তৎপরতা বন্ধ করতে আমদানির ঘোষণা ও ভোক্তা অধিদফতরের পদক্ষেপে কমতে শুরু করে ডিমের দাম।
গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কমে ১৩০ টাকায় প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হতে দেখা যায়। এর এক সপ্তাহ পর গতকাল শুক্রবার আরো ১৫ টাকা কমে ১১৫ টাকায় বিক্রি করছে দোকানিরা। তবে বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে সব ধরনের সবজি। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না। ফলে এখন শাকসবজি খেয়েই দিনপার করছেন।
ডিমের মূল্যও নাকি সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। প্রতিদিন দুপুর ১২ টার দিকে নির্ধারিত হয় ডিমের মূল্য। সে অনুযায়ী খামারিরা ডিমের মূল্য পায়।
অর্থাৎ বড় আড়তদাররাই এই মূল্য নিয়ন্ত্রণ করেন। ক্ষেত্র বিশেষে ছোট ব্যবসায়ী ও মুদি ব্যবসায়ীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে।
খামারিরা ডিম বিক্রির সময় শুধু ডিমের সংখ্যার হিসেব রাখেন। ভাউচারে কোনো মূল্য উল্লেখ থাকে না। আড়তদার ডিম বিক্রি করে টাকা দেয়। এটাই নাকি সিস্টেম!
ডিমের মূল্য কিন্তু ছোট ও বড় অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। মূলত বড় ডিমের বাজারই সিন্ডিকেট অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। ৩০ টি ডিমের ওজন ১ কেজি ৯০০ গ্রামের বেশি হলে সেটা বড় বা স্ট্যান্ডার্ড ডিমের মর্যাদা পায়। ছোট সাইজের ডিমের মূল্য প্রতি ১০০ তে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত কম হয়ে থাকে। মুদি দোকানে বড় ও ছোট মিক্স করে বিক্রি করে।
আজকে ১০০ ডিমের খামার পর্যায়ের মূল্য ৯২০ টাকা। যদিও গত পরশু দিন ৮৯০ টাকা ছিলো। একদিনের ব্যবধানে কি এমন ঘটেছে যে ডিমের মূল্য ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাব মিলেনি।
ডিমের উৎপাদন খরচ অনুযায়ী খামারিরা লভ্যাংশ রেখেই ডিমের মূল্য নির্ধারণ করবেন এমনটাই আশা করি।
সবচেয়ে কম মূল্যের প্রোটিনের এই উৎস নিয়ে সিন্ডিকেট না হোক।
ডিমের মূল্য কারসাজি করার অপরাধে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী জরিমানা আরোপ করা হয়।