প্রতিনিধি ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৭:১৬:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।২০ ডিসেম্বর ২০২৫-এর সর্বশেষ খবর অনুযায়ী,এই কিলিং
মিশনের পেছনে প্রধান মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কেরানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ (শাহীন চেয়ারম্যান)-কে শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

তদন্ত ও ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী মূল বিষয়গুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
কল রেকর্ড ও ডিজিটাল প্রমাণ:আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে,কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ কল ও খুদেবার্তার (SMS) সূত্র ধরে শাহীন চেয়ারম্যানের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।এছাড়া ভারতে অবস্থানরত একটি গ্রুপের সাথে অ্যাপভিত্তিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঢাকায় থাকা সহযোগীদের কাজের সমন্বয় করা হচ্ছিল বলেও তদন্তে উঠে এসেছে।
অর্থ ও অস্ত্রের জোগান: গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শাহীন চেয়ারম্যান এই কিলিং মিশন বাস্তবায়নে প্রধান অর্থ ও অস্ত্রের জোগানদাতা ছিলেন।হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি ৭.৬৫ ক্যালিবারের ছিল বলে সিআইডি নিশ্চিত করেছে।
অন্যান্য সহযোগী: এই ঘটনার মূল শ্যুটার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ (রাহুল)।তাকে পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে এবং পরিকল্পনার সাথে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,যাদের মধ্যে ফয়সালের বাবা-মা এবং নূরুজ্জামান নোমানী (উজ্জ্বল) অন্যতম।
পরিকল্পনার উদ্দেশ্য: তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা, দেশে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি এবং নির্বাচন বিলম্বিত করার লক্ষ্যেই কয়েক মাস ধরে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য,গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ঢাকার বিজয়নগরে হাদি গুলিবিদ্ধ হন এবং ১৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে জাতিসংঘ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আহ্বান জানিয়েছে।

















