প্রতিনিধি ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৪:২৮:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।পুলিশ আইন ও দেশের সংবিধান অনুযায়ী,পুলিশ জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দায়বদ্ধ The Police Act, 1861।

রাজনৈতিক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হলো:
১. জেলখানায় ধারণ ক্ষমতা ও ব্যয়ঃ-তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের কারাগারগুলোর বর্তমান ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৫৪,০০০ থেকে ৫৫,০০০ এর আশেপাশে।যদি ১ কোটি নেতাকর্মীকে বন্দি করা হয় এবং প্রতিজনের প্রতিদিনের খাবার ও আনুষঙ্গিক খরচ ১০০ টাকা ধরা হয়,তবে হিসাবটি দাঁড়ায়:
দৈনিক খরচ: ১০০ কোটি টাকা।
মাসিক খরচ: ৩,০০০ কোটি টাকা।
বার্ষিক খরচ: ৩৬,০০০ কোটি টাকা।
তাত্ত্বিকভাবে এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে কারাগারে রাখা বর্তমান অবকাঠামোয় অসম্ভব।বাংলাদেশ জেল বা কারা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে কারাগারের সঠিক ধারণ ক্ষমতা ও বন্দি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আরও জানা যাবে।
২. পুলিশ ও সরকারি কর্মচারীদের দায়বদ্ধতা:গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, “সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।” পুলিশ বা যেকোনো সরকারি কর্মকর্তা আইন বহির্ভূত বা রাজনৈতিক উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করলে তা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থী।
৩. আইনি সীমাবদ্ধতা:পুলিশের যেকোনো পদক্ষেপ বা বক্তব্য ফৌজদারি কার্যবিধি (CrPC) এবং পুলিশ রেগুলেশনস অব বেঙ্গল (PRB) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।কোনো কর্মকর্তার আচরণ পেশাদারিত্বের বাইরে গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা কোনো ব্যক্তির নির্দিষ্ট বক্তব্যের বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে চাইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন বা উচ্চপর্যায়ে অভিযোগ করতে পারেন।















