প্রতিনিধি ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৪:০১:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।জুলাই ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র ঐক্য এবং জাতীয় সংহতি পরবর্তীকালে বেশ কিছু কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট দলগুলোর বক্তব্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,এই ঐক্য নষ্ট হওয়ার পেছনে প্রধান কারণগুলো হলোঃ-রাজনৈতিক বিভাজন ও দলাদলি: ক্ষমতাচ্যুতির পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং বিভাজন তীব্র হয়েছে।বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর দীর্ঘ ২২ বছরের জোটবদ্ধ সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে এবং তারা বর্তমানে পরোক্ষ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হয়েছে।
নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দ্বিমতঃ-অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রাধিকার এবং নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সীমা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানালেও জামায়াত ও অন্যান্য দলগুলো প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানঃ-গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী তরুণদের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক দল (যেমন: জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি) গঠন পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অস্থিরতা ও অস্বস্তি তৈরি করেছে।
জুলাই সনদ ও রেফারেন্ডাম নিয়ে বিতর্কঃ-জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এবং এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে।বিএনপি এই সনদের কিছু বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে এবং এটি রাজনৈতিক ঐক্যে ফাটল ধরিয়েছে।
ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাতঃ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে একটি মহলের পরিকল্পিত চক্রান্ত এবং সহিংসতার অভিযোগও উঠেছে। সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদীর ওপর হামলা এবং তার মৃত্যুর ঘটনাকে অভ্যুত্থানের চেতনা নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সম্ভাবনাঃ-রাজনৈতিক বিভাজনের সুযোগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ বা তাদের সমর্থকদের পুনরুত্থানের একটি পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে,নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের আকাঙ্ক্ষা, আদর্শিক পার্থক্য এবং নতুন প্রজন্মের সাথে পুরোনো রাজনীতিকদের চিন্তা-ভাবনার ব্যবধান এই ঐক্যকে দুর্বল করে তুলছে।তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঐক্য রক্ষায় দলগুলো আবারও আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে।















