প্রতিনিধি ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৩:৩৫:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে এবং ৫ আগস্টের ঘটনার পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।দলের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠন এবং সাধারণ নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এখন এক বড় চ্যালেঞ্জ।

১. নেতৃত্বের পার্থক্য: বঙ্গবন্ধু যেখানে শূন্য হাতে সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করে স্বাধীনতা এনেছিলেন,সেখানে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকেও হাইব্রিড ও সুবিধাবাদীদের দাপটে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে।
২. হাইব্রিড ও সুবিধাবাদীদের উত্থান: ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে অর্থ ও ক্ষমতার বিনিময়ে অন্য দল থেকে আসা ‘হাইব্রিড’ এবং প্রশাসনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা (প্রশাসনলীগ বা পুলিশলীগ) দলকে জনবিচ্ছিন্ন করেছে বলে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকও মনে করেন।
৩. পরিবারতন্ত্র ও দলীয় পদ দখল: স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ী হওয়া এবং একই পরিবারের হাতে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ফলে দলের ভেতরে একটি বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছিল।৫ আগস্টের পর সেই তথাকথিত ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের অনেককেই মাঠে পাওয়া যায়নি,বরং সাধারণ কর্মীরাই মামলার শিকার হচ্ছেন।
৪. অর্থপাচার ও বিলাসী জীবন: দলের নাম ভাঙিয়ে যারা কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন,তারা বর্তমানে বিদেশে নিরাপদ জীবন যাপন করছেন,অথচ সাধারণ কর্মী ও সমর্থকরা দেশে প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন।















