প্রতিনিধি ১২ অক্টোবর ২০২২ , ১:০৫:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন নড়াইলের লোহাগড়ার মধুমতি নদীর ওপর কালনা পয়েন্টে নির্মিত দেশের প্রথম ছয় লেনের দৃষ্টিনন্দন ‘মধুমতি সেতু’চালুর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩ হাজার যানবাহন চলাচল করেছে। এ সময় চার লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত সেতুতে ২ হাজার ৫০০টি যানবাহন চলাচল করেছে। এর মধ্যে সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সেতুটি পাড়ি দেয় ১ হাজার ৫০০ যানবাহন। এসব যান থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এদিকে ওই দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত যানবাহন চলেছে ১ হাজার। এ সময় টোল আদায় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। পরে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত গাড়ি চলাচল করেছে আরও ১ হাজার। একই সঙ্গে টোল আদায় হয়েছে আরও ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩ হাজার যানবাহন থেকে সর্বমোট চার লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মধুমতি সেতু, টোলিং সিস্টেম প্রজেক্ট ম্যানেজার আতিকুল ইসলাম আতিক।
এর আগে সোমবার (১০ অক্টোবর) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তবে একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মধুমতি সেতুর উদ্বোধন করেন।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম খান বলেন, মধুমতি সেতুতে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায় শুরু হয়নি। টোলপ্লাজার ৮টি বুথের মধ্যে ৫টি চালু রয়েছে। এখনও টোল ইজারা দেওয়া হয়নি। গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টোল আদায় করছেন। দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে মধুমতি সেতুর টোল ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
মধুমতি সেতু পারাপারের জন্য বড় ট্রেইলার ৫৬৫ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০ টাকা, দুই এক্সেল বিশিষ্ট মাঝারি ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত পাওয়ার ট্রলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকআপ, কনভারশনকৃত জিপ ও রে-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পো, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিকশা, ভ্যান ও বাইসাইকেলের ক্ষেত্রে পাঁচ টাকা টোল নির্ধারণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।