প্রতিনিধি ১০ অক্টোবর ২০২৩ , ৫:২৯:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
দশমিনা (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।অভাবে পরীক্ষার ফি দিতে না পেরে স্কুলেই আত্মহত্যা করেছে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তন্ময় চক্রবর্তী।খুবই কষ্টের বিষয় হলো,তন্ময়ের বাবা গোপাল চন্দ্র চক্রবর্তী একই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।তার মৃত্যুর পর পরিবারে অভাব শুরু হওয়ায় পরীক্ষার ফি দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না তন্ময়ের।তার এমন পরিস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষকরা সাবেক সহকর্মীর সন্তানকে পরীক্ষার ব্যবস্থাও করে দেয়নি।

সোমবার ১০ম শ্রেণির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা ছিল। তন্ময় সকালে সঠিক সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হয়। পরীক্ষার হলের কক্ষ পরিদর্শক মরিয়ম বেগম তন্ময়কে ডেকে বলেন,তোমার টাকা বকেয়া আছে।তুমি পরীক্ষা দিতে পারবে না।প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে অনুমতি নিয়ে আস।
তন্ময় প্রধান শিক্ষক কাওসার হোসেনের সঙ্গে দেখা করলে তিনি বলেন,টাকা ছাড়া তোমার পরীক্ষা দেওয়া হবে না। তারপর তন্ময় তার মায়ের কাছে গিয়ে টাকা চাইলেও টাকা না পেয়ে বিদ্যালয়ে ফিরে আসে এবং প্রধান শিক্ষকের কাছে আবারও পরীক্ষায় বসার অনুমতি চাইলে প্রধান শিক্ষক তন্ময়ের সহপাঠীদের সামনে তাকে নেশাখোর বলে চড়-থাপ্পর দেন।
এই অভিমানে তন্ময় বিদ্যালয় ভবনে বসে অনেকগুলো গ্যাসের ওষুধ খায়।এরপর ওষুধের প্রতিক্রিয়া শুরু হলে সে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে যায় এবং সেখানে গিয়ে বমি করে শিক্ষকের টেবিলের ওপর পড়ে যায়।সেখান থেকে তাকে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে বিকেল ৫টায় তন্ময়ের মৃত্যু হয়। গতকাল সোমবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আরোজবেগী এস এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।















