আরও অন্যান্য সংবাদ

❝১লা জুলাই থেকে ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত সর্বমোট নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৪ শত জন হতে পারে❞ -জাতিসংঘ

  প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২৫ , ৪:০৯:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

অপরাধ পরিক্রমা ডেস্ক রিপোর্ট।।জাতিসংঘের তদন্তদল তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করে ❝১লা জুলাই থেকে ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত সর্বমোট নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৪ শত জন হতে পারে❞ যার মধ্যে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মী,সমর্থক,পুলিশ,বিজিবি,আনসার,র‍্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত আছে।

৫ আগষ্টের পর থেকে তথাকথিত এই আন্দোলনে জড়িত সকল পক্ষের দাবী ছিলো জুলাই-আগষ্ট মাসে আন্দোলন দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার নিরাপত্তা বাহিনী ও দলীয় কর্মীদের দিয়ে সারাদেশে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে।প্রথমে দাবী করা হয়েছিলো ৪ হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে,এরপর সেই সংখ্যা কমে হয় ৩ হাজার।কিন্তু ৩ হাজার জনের তথ্যপ্রমান দিতে না পেরে সংখ্যাটা তারা নামিয়ে আনে ২ হাজারে। দাবী করে ২ হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে আন্দোলন দমন করতে।পরবর্তীতে জাতিসংঘ তাদের একপেশে ফরমায়েসী তদন্তে এই ২ হাজার শহীদ ছাত্র-জনতার তথ্যপ্রমানও খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়।

৫ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে আইএসপিআর থেকে সমস্ত মিডিয়াতে জানানো হয় সেনাপ্রধান দুপুর ২টায় জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেবেন।আইএসপিআর-এর এই বিজ্ঞপ্তি সমস্ত মিডিয়া তাৎক্ষনিকভাবে ❝ব্রেকিং নিউজ❞ হিসেবে লাগাতার প্রচার করতে থাকে।সেনাপ্রধানের ❝জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য❞ দেয়ার ঘোষনাতেই মূলত সবার বদ্ধমূল ধারনা হয়ে যায় যে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হতে যাচ্ছে এবং পরবর্তীতে তাই-ই হয়।


ফলশ্রুতিতে ঐদিন দুপুর অর্থাৎ সেনাপ্রধানের ভাষন দেয়ার আগে থেকেই সারা দেশে প্রায় একসাথেই শুরু হয় ব্যাপক হামলা,ভাংচুর,লুটপাট,অগ্নিসংযোগ,হত্যা-খুন সহ সব রকমের নৈরাজ্য,অরাজকতা।একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে খোদ গনভবন সংসদ ভবন পর্যন্ত সব জায়গায় চলতে থাকে ব্যাপক তান্ডব,মব বা প্রেশারের নামে যা এখনো চলমান।

এরপর থেকে জুলাই সন্ত্রাসীরা তথাকথিত শহীদের সংখ্যা ১ হাজার ৪ শত জন দাবী করতে থাকলেও তাদের নিয়ন্ত্রনাধীন ওয়েবসাইটের লিখা আছে ❝এ পর্যন্ত শহীদ ৬৫০+❞!!

অবশেষে ১৫ জানুয়ারী প্রকাশিত সরকারী শহীদ গেজেটে আসে ৮৩৪ জনের নাম!

এই গেজেটেও নিহতের তালিকা তৈরীর ক্ষেত্রে নেয়া হয় স্থুল চতুরতা।এখানে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের নিহত হওয়ার সময়-তারিখ,ঘটনাস্থল,নিহত হওয়ার কারন উল্লেখ করা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাও উল্লেখ করা হয়নি,এমনকি নিহত ব্যক্তির বয়স এবং পেশাও উল্লেখ নাই,নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করার ক্ষেত্রে অনেক সহজ বানানও ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।তালিকাটি তৈরীতে তারিখ, বিভাগ বা জেলাওয়ারি কোন পদ্ধতিও অনুসরন করা হয়নি। মোট কথা কোন নিহতের তথ্য খুঁজে পাওয়া বা কারো নাম যাচাই করা প্রায় অসম্ভব করে তোলা হয়েছে এই গেজেটে।

দখলদার সরকার কর্তৃক প্রকাশিত এই গেজেটে শুধুমাত্র ❝শহীদ❞ সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ৫ আগষ্ট দুপুরের পর থেকে তথাকথিত আন্দোলন সংশ্লিষ্টতা নেই বরঞ্চ স্বাভাবিক-অস্বাভাবিক বিভিন্ন ভাবে নিহত হয়েছে এমন অনেক নাম গেজেটে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এই গেজেটে আছে পুলিশের উপর হামলা,থানা-ফাঁড়ি – অস্ত্রাগার লুট ও অগ্নিসংযোগ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে, কারাগার থেকে পালাতে গিয়ে,কারাগারে হামলা করতে গিয়ে, আওয়ামী লীগার নেতাদের বাড়ীঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট -অগ্নিসংযোগ করার সময় নিজেদের আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে, নিজের কাছে থাকা অস্ত্রের আত্মঘাতি গুলিতে,মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে,হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে,কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে,বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে,চাঁদাবাজী করতে গিয়ে গণপিটুনিতে,ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনিতে নিহতদের নাম।

শহীদ গেজেটের ২৮ নাম্বার সিরিয়ালে আছে শহীদ (?) বিজয় এর নাম।ইউনুসের ক্ষমতা দখলের পর ১৩ আগস্ট যাত্রাবাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যায় দনিয়া এলাকার বিজয়।নিহত শহীদ (?) বিজয় ঐ সময় মোটরসাইকেলে চড়ে রেস্ট্যুরেন্ট থেকে পরোটা কিনতে যাচ্ছিলো।

গেজেটের ৩৭ নাম্বারে রয়েছে শহীদ (?) নিজাম উদ্দিনের নাম। নিজাম উদ্দিন ৫ আগস্ট বিকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলার উদ্দেশ্যে আরো অন্যান্য অনেক লোকজন সহ কারাফটকে জড়ো হয় এবং হামলা সহিংসতা করে। এইসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিজাম উদ্দিন নিহত হয়।

গেজেটের ১৮৭ নাম্বার শহীদ (?) এর নাম জাবেদ।জাবেদ মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় দায়ের করা চুরি ও ছিনতাই মামলার আসামী হিসেবে তিন মাস ধরে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হিসেবে ছিলো।৬ আগস্ট সকালে কারাগারের অভ্যন্তরে জাবেদ সহ অন্যান্য বন্দীরা বিদ্রোহ করে।তারা সবাই প্রধান ফটক ও দেয়াল ভেঙে, দেয়ালের ইট খুলে ও গ্রিল ভেঙে কারারক্ষীদের ওপর হামলা করে পালানোর চেষ্টা করে।একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিদ্রোহী কারাবন্দীদের লাঠিপেটা ও গুলি করে।এতে একজন নিহত ও জাবেদ সহ কয়েকজন আহত হয়।পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাবেদ মারা যায়।

গেজেটে ৩২৫ নাম্বার সিরিয়ালে আছে শহীদ (?) রকিবুল হাসান রকি।রকিবুল হাসান ৫ই আগষ্ট বিকালে মিছিল করার সময় বাঁশের লাঠিতে জাতীয় পতাকা টানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।রকিবুল হাসান বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন বলে ৯নং চাঁদখালি ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যয়ন পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মৃত্যুর প্রমাণ পত্রে ও সরকারি মৃত্যু নিবন্ধনেও তার মৃত্যু বৈদ্যুতিক শকে হয়েছে বলে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।

এ ঘটনাকে পরিকল্পিত খুন দাবি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কেন্দ্রীয় ও খুলনার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সাংবাদিক সহ ৩১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১২০০/১৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন করেছে নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম গাজী।২১ নভেম্বর চিফ প্রসিকিউটরের কাছে অভিযোগটি জমা দেন তিনি।

গেজেটে ৩৭৫ নাম্বার সিরিয়ালের শহীদ (?) এর নাম জিন্নাহ মিয়া।হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলা মামলার আসামী হিসেবে জিন্নাহ মিয়া গাজীপুরের ‘কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার’ এ বন্দী ছিলো।৬ আগষ্ট দুপুরে কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে জিন্নাহ নিহত হয়েছে।এইদিন অর্থাৎ ৬ আগষ্ট দুপুরের দিকে কয়েকজন কারারক্ষীকে জিম্মি করে জিন্নাহ সহ কিছু জঙ্গি ও সাধারণ বন্দী মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও বিদ্রোহ শুরু করে। কারারক্ষীরা তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

এ সময় অনেক বন্দী ভেতরে থাকা মই ব্যবহার করে ও দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।কারাভ্যন্তরে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ফটকে অবস্থান নেয় বন্দীদের স্বজনেরা,একপর্যায়ে কারাগারের বাইরে একটি ঝুটের গুদামে অগ্নিসংযোগ করে দেয় তারা।পরে কারারক্ষীরা নিরাপত্তার স্বার্থে গুলি ছোড়ে এবং বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সেনাবাহিনীর কয়েকটি দল কারাগারে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সেই দিন কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে ২০৯ জন বন্দী এবং ৩ জন জঙ্গি সহ মোট ৬ জন নিহত হয়।

গেজেটের ৪৮৯ নাম্বারে রয়েছে শহীদ (?) মামুন আহমেদ রাফসান এর নাম।কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ক্যাফে আল বাইক হোটেলের কর্মচারী রাফসান ৫ আগস্ট বিকালে বিজয় মিছিলে অংশ নেয়,মিছিলে থাকাবস্থায় রাফসান তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসে।এর কিছুক্ষন পরে কয়েকজন মিলে রাফসানকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তার জানান রাফসানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো এবং তার শরীরে কোন প্রকার আঘাত বা রক্তপাতের চিহ্ন ছিলো না।

ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনরা রাফসানের মরদেহ বাড়ি নিয়ে দাফন করেন।সেদিনের কর্তব্যরত ডাক্তার জানান,যেহেতু রাফসানের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি,তাই মৃত্যুর সঠিক কারন জানা না গেলেও ধারনা করা যায় রাফসানের মৃত্যু হার্ট এ্যাটাক বা অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে হয়েছে।

এই ঘটনার ১০ মাস পর ২৮ মে নিহত রাফসানের ভাই রানু মিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি বাহার ও তার মেয়ে মেয়র সূচনাসহ ১৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জনকে আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে৷এজাহারে লেখা হয় ৫ তারিখ বিকালে আন্দোলন চলাকালে রাফসানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

গেজেটের ৪৯৮ নাম্বার সিরিয়ালে থাকা শহীদ (?) জামায়াত কর্মী ছমেছ উদ্দিন। ২ আগস্ট ছমেছ উদ্দিন নিজের মুদি দোকানে বসে ছিলো,এই সময় পুলিশ স্থানীয় জামায়াত নেতা নাছির উদ্দিনকে আটক করতে আসে।পুলিশ দেখে ছমেছ উদ্দিন দোকান থেকে নেমে দৌড় দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়।ছমেছ উদ্দিনের মরদেহের কোনো ময়নাতদন্ত হয়নি, পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও কোনো জিডি হয়নি, মৃত্যু রেকর্ড হয়নি।এমনকি হাসপাতালের সনদেও লেখা নেই যে মৃত্যুটি ‘হত্যা’ ছিল।

তারপরও এই ঘটনার ১০ মাস পর নিহত ছমেছ উদ্দিন এর স্ত্রী আমেনা বেগম বাদী হয়ে ৩রা জুন হাজীরহাট থানায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের সহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করা একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

গেজেটের ৭৬৮ নাম্বার শহীদ (?) এর নাম কাওছার মাহমুদ। গত ৫ আগষ্ট সকালে ক্রনিক রেনাল প্যারেনকাইমাল ডিজিজ স্টেজ-৩ (অর্থাৎ তার দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের সর্বশেষ পর্যায়) আক্রান্ত কাওছারকে আগ্রাবাদ এলাকার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়, সেখানে শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটলে কাউছারকে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।

২৮ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্মি অ্যাভিয়েশনের হেলিকপ্টারে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।।

১৩ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে কাউছার মাহমুদ মারা যায়।

ঘটনা হলো তথাকথিত আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হবে -দখলদার সরকারের এমন ঘোষনার পর বিভিন্ন অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেয়ার জন্যই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অর্থাৎ ৫ আগষ্টের ১৬ দিন পর হঠাৎ করে তার বাবা আবদুল মোতালেব চিকিৎসকদের জানান,হাসপাতালে ভর্তির আগের দিন ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কাউছার পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় ‘শারীরিকভাবে আঘাত’ পেয়েছিলো !!

তবে চিকিৎসকরা তার শরীরে আঘাত পাওয়ার কোনো লক্ষণ খুঁজে পাননি। এমনকি এমআরআই পরীক্ষাতেও তার শরীরে আঘাতের কোন প্রমান পাওয়া যায়নি।স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, কাওছার মেটিকিউলাস আন্দোলনের অন্তত ছয় মাস আগে থেকে জটিল কিডনি আক্রান্ত।তার ২টি কিডনিই ড্যামেজ এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাসায় শয্যাশায়ী ছিলো। তাকে ৪ঠা আগস্ট বা এর আগে অথবা পরেও চট্টগ্রামের নিউমার্কেট বা অন্য কোনো এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা যায়নি।

#Raise_fund_for_KAWSER হ্যাশ ট্যাগ ক্লিক করলেও কাওসারের দীর্ঘদিন যাবত কিডনী রোগে চিকিৎসাধীন থাকার প্রমান পাওয়া যাবে বিভিন্ন জনের পোষ্টে।আরেকটা বিষয় হলো দীর্ঘদিন যাবৎ মোগলটুলি এলাকায় পরিবার সহ বসবাস করলেও ভবিষ্যৎ ঝামেলা এড়াতে কিংবা কোনো অনৈতিক উদ্দেশ্যে শহীদ গেজেটে স্থায়ী-অস্থায়ী ২টি ঠিকানাই চট্টগ্রাম বাদ দিয়ে রামগঞ্জ লক্ষীপুর দেওয়া হয়েছে।

“গেজেটের ৭৭৬ নাম্বার শহীদ (?) আল আমিন ভূইঁয়া। ইউনুস ক্ষমতা দখলের ৮দিন পর ১৪ই আগষ্ট সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন হাটখোলা এলাকায় ফকির বানু টাওয়ারের পাশের গলিতে ‘ফ্ল্যাট নিয়ে দ্বন্দ্বের জের’ ধরে আপন ভাই নুরুল আমিন ভূঁইয়া সহ দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হয় আল আমিন ভূঁইয়া।
( https://www.jugantor.com/tp-news/838161 )

গেজেটে ৭৮৪ নাম্বরে রয়েছে শহীদ (?) ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ এর নাম। ইমতিয়াজ ৫ই আগস্ট বিকেলে অন্যান্য দুর্বৃত্তদের সাথে চাটখিল থানায় হামলায় অংশ নেয়। হামলাকারী দুর্বৃত্তরা থানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর,অস্ত্র ও আসবাবসহ সমস্ত কিছু লুটপাট শেষে থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ঐসময় থানা থেকে লুট করা একটি অস্ত্র কোমরে নিয়ে মোটরসাইকেলে স্থান ত্যাগ করে ইমতিয়াজ,এ সময় পথিমধ্যে সেই অস্ত্র থেকে বুলেট বের হয়ে তার পায়ে লাগে। তারপর তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ এর মৃত্যু হয়।

( https://www.dhakapost.com/country/309462 )
এই ঘটনার ৯ মাস পর ২১শে মে নিহত ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ এর পিতা স্থানীয় বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগের ৫৭ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জনকে আসামী করে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে চাটখিল থানা পুলিশকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেন।পরবর্তীতে আদালত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রুজু করার জন্য চাটখিল থানা কে নির্দেশ দেয়। ( https://www.dhakapost.com/country/367508 )

এখন বলেন,ভূয়া নাম সংযুক্ত করে,হার্ট এ্যাটাক,হিটস্ট্রোক, সড়ক দূর্ঘটনা,গনপিটুনীসহ স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিকভাবে নিহত দুর্বৃত্তরা কিভাবে ‘আন্দোলনে শহীদ’ হয় ?
প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সপ্তাহখানেক পরের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের নাম কিভাবে গেজেটে স্থান পায়??
এসব ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করে তথাকথিত শহীদের তালিকা দীর্ঘ করার অপচেস্টার উদ্দেশ্য কী ???

আরও খবর

Sponsered content