প্রতিনিধি ৮ মে ২০২৫ , ৩:৩৫:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।ভারতের রাজস্থানের নাগৌর জেলার ঝাডেলি গ্রামের একটি মাড়োয়ারি পরিবারে এক মেয়েকে বিয়ে করেই ধনী হলেন এক যুবক।বিয়ে উপলক্ষে পাত্রকে মোট ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৬ কোটি টাকার যৌতুক দিল পাত্রীর পরিবার। উপহারের তালিকায় কী কী ছিল।তাও বিয়ের অনুষ্ঠানে মাইকে ঘোষণা করা হয়।সম্প্রতি বিয়েবাড়ির এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। খবর হিন্দুস্তান টাইম বাংলার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই ভাইরাল হয় বিয়ের অনুষ্ঠানের নানা কাণ্ডের ভিডিও,ছবি।কখনও নাচগানের,কখনও বা নানা আচার-অনুষ্ঠানের।বর্তমানে একটি ভিডিও ঘিরে জোর চর্চা চলছে। যেখানে দেখা গেছে,বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বসমক্ষে কোটি কোটি টাকার যৌতুক দেওয়া হচ্ছে পাত্রকে।পাত্রকে ঘিরে আছেন পরিবারের সদস্যরা।এক একটি উপহারের ঘোষণার পরেই হাততালিতে ভরিয়ে দিচ্ছেন সকলে।
যৌতুকের তালিকায় কী কী রয়েছে? জানা গেছে,ওই পাত্রকে একাধিক সোনার গহনা,তিন কেজি রূপা,একটি পেট্রোল পাম্প,২১০ বিঘা জমি ও কয়েক কোটি টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়েছে।সব মিলিয়ে ১৫ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার উপহার পেয়েছেন তিনি।সবটাই পাত্রীর পরিবারের তরফে পাত্রকে বিয়ের দিন দেওয়া হয়।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,এই বিশাল উপহার দিয়েছেন পটলিয়া পরিবারের চার ভাই—ভাওয়ারলাল, রামচন্দ্র,সুরেশ এবং ডা. করণ পটলিয়া।তাঁরা বর শ্রেয়াংশ চাবার মামা ও চাচাতো মামা।বর শ্রেয়াংশ চাবা হলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগবীর চাবা ও কমলা দেবীর পুত্র।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের সাবেক বিজেপি সভাপতি ও হরিয়ানার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ডা. সতীশ পুনিয়া এবং জনপ্রতিনিধি হরিরাম কিনওয়াদা।পটলিয়া পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী, ব্যাংক ম্যানেজার ও ঠিকাদারও।
এই মায়রার আগে গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে সাদোকান গ্রামের নাথুরাম সাঙ্গওয়া তাঁর মেয়ে সীমার বিয়েতে ৩ কোটি ২১ লাখ রুপির মায়রা দিয়েছিলেন। সীমার কোনো ভাই না থাকায় বাবা ঐতিহ্যবাহী এই দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে শেখাসানি,ধিঙ্গাসারা ও জাখান গ্রামেও তিনটি পরিবার যথাক্রমে ১৩ কোটি ৭১ লাখ,৮ কোটি ও ১ কোটি রুপির মায়রা দিয়েছে।
রাজস্থানের মাড়োয়ারি সমাজে মায়রা দেওয়াকে ভালোবাসা ও সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।নাগৌরে এই প্রথাটি উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়।তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাড়তি প্রদর্শন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে।বলা হচ্ছে,এই বিশাল অর্থব্যয় সমাজে অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা এবং চাপ তৈরি করছে।

















