প্রতিনিধি ১৪ মে ২০২৫ , ৫:০৫:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।গত ৭ মে দিবাগত রাতে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।তিনি বর্তমানে অবস্থান করছেন থাইল্যান্ডে। তার এই হঠাৎ সফর ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা।জানা গেছে,তিনি যাত্রায় ব্যবহার করেছেন কূটনৈতিক (ডিপ্লোম্যাটিক) পাসপোর্ট,যা সাধারণ নাগরিকদের নাগালের বাইরে।

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে,২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ আবদুল হামিদের নামে ১০ বছর মেয়াদী একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়,যার মেয়াদ থাকবে ২০৩০ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত।এই পাসপোর্ট নম্বর ছিল ডি০০,যেখানে “ডি” কোডটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট নির্দেশ করে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বর্তমানে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।বামরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ড. হারিত সুয়ানরাসমির তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে তার বায়োপসি (ক্যানসার শনাক্তকরণ পরীক্ষা) হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়,এখনও আবদুল হামিদ হাসপাতালটিতে ভর্তি হননি।বাইরে থেকেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।তবে বায়োপসির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আজ কিংবা কালকের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন।এর আগে তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে,যার মধ্যে পেট স্ক্যানও রয়েছে।
ব্যাংককের সুকুম্ভিত এলাকায় অবস্থান করলেও তিনি হোটেল না অ্যাপার্টমেন্টে আছেন,সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।সাবেক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান রয়েছেন।
লাল পাসপোর্ট (ডিপ্লোম্যাটিক): রাষ্ট্রপ্রধান,প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য,সংসদ সদস্য,বিচারপতি,উপাচার্য,সচিব এবং বিদেশে কর্মরত কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত।
এই পাসপোর্টধারীরা অনেক দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশের সুবিধা পান।তবে সাবেক কোনো রাষ্ট্রপতির পক্ষে দীর্ঘমেয়াদী এই সুবিধা বহাল রাখা কতটা যুক্তিসঙ্গত,তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নাগরিক সমাজ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,দায়িত্বে না থাকলেও কূটনৈতিক সুবিধা ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থান করলে সেটি প্রটোকলের বাইরে পড়ে যায় এবং ‘প্রিভিলেজ অ্যাবিউজ’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
সাবেক রাষ্ট্রপতির এই সফর এবং ব্যবহৃত পাসপোর্টের বৈধতা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
















