প্রতিনিধি ১৬ মার্চ ২০২৩ , ১১:১০:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান দেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান।দুবাইয়ের সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান পুলিশ খুনের মামলার আসামি।আর তাই একজন আসামির স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সমালোচিত হচ্ছেন সাকিব।

দুবাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের সঙ্গে সাকিব আল হাসান।
এর মাঝেই সাকিবকে নিয়ে রীতিমত বোমা ফাটালেন ব্যারিস্টার সুমন।বৃহস্পতিবার ( ১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় সাকিবকে নিয়ে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তা দেন ব্যারিস্টার সুমন।ভিডিও বার্তায় সুমন বলেন,সাকিব আল হাসান,আমাদের একজন নামি ক্রিকেটার।যার জন্য আমরা গর্ববোধ করি।উনি একটা স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করার জন্য চলে গেছেন দুবাইতে।যারা সেলিব্রেটি আছি,তাদেরকে যে-কেউ দাওয়াত দিলে যেতেই পারেন।আমি সাকিব আল হাসানের কোনো দোষ এই পর্যন্ত দেখি না।’
তিনি আরও বলেন,কিন্তু যখন আমি জানতে পারলাম যে, ডিবির পক্ষ থেকে সাকিব আল হাসানকে জানানো হয়েছিল, আপনি যার দোকান উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন তিনি একজন পুলিশ ইন্সপেক্টরের হত্যা মামলার আসামি।পাশাপাশি তিনি এখন পলাতক অবস্থায় রয়েছেন।ইন্টারপোলের সাহায্যে আমরা তাকে ধরে আনা চেষ্টা করছি।তারপরও সাকিব আল হাসান তার দোকান উদ্বোধন করতে গেছেন।আমার কাছে মনে হয়েছে,এটা যে একটা অপরাধ,সেটা তিনি জানেন কিনা! সেলিব্রেটি হলে কি তার কোনো অপরাধের বিচার হবে না।’

সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না মন্তব্য করে সুমন বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের যারা অনুসারী আছেন,তাদের প্রতি সম্মান রেখে একটা কথা বলতে চাই—যে সাকিব আল হাসানকে আপনারা চেনেন,কিছুদিন আগে আমি একটা ভিডিও করে তাকে অনুরোধ করেছিলাম,যাতে জুয়ার সঙ্গে সে সম্পৃক্ত না হয়,আমি বলেছিলাম জুয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য তিন লাখ টাকা লাগলে আমি তাও দিতে রাজি। সাকিব আল হাসান এমন একজন মানুষ,যিনি কোনো ধরনের সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না।’
এই আইনজীবী আরও বলেন,কিছুদিন আগে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার যে সিরিজ হয়,সেখানে তার (সাকিব) সঙ্গে আমার হোটেল সোনারগাঁওয়ে দেখা হয়েছিল।ওই সময় আমাকে দেখে সে পুলিশ এবং বিসিবি কর্মকতার্দের সামনে আমাকে মারতে এসেছিল।সেখানে কিছু আমেরিকান লোকজন ছিল,যাদের সঙ্গে আমি দেখা করতে গিয়েছিলাম।তাদের সামনে সবাইকে অগ্রাহ্য করে আমাকে মারতে আসছিলেন। আমি কিছু বলিনি।’

















