সারাদেশ

রক্তের সাথে বেইমানি করে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে এমপি হতে চায় রিপন

  প্রতিনিধি ৩ জানুয়ারি ২০২৪ , ৫:০৫:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল প্রতিনিধি॥পরিকল্পিত উদ্দেশ্যমূলক জনসেবা করায় জনগণের মন জয় করতে পরেনি বরিশাল-৫ আসনের ট্রাক মার্কা স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন।নির্বাচনী মাঠে ট্রাক মার্কার পক্ষে জনপ্রিয় কোন ব্যক্তির নেতৃত্ব না থাকায় অর্থ ছিটিয়ে একতরফাভাবে টিকে আছেন তিনি।জনগনকে ধোঁকা দিয়ে তার এমপি হবার স্বপ্নের রহস্য উন্মোচন হবার পরই রিপন ভাড়াটে সমর্থকরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।তার এলাকার স্থানীয় কয়েক জনগণের সাথে আলাপকালে বেড়িয়ে এসেছে ওই সব তথ্য।জনগনকে ধোঁকা দেয়ার রিপন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে এস আর সমাজ কল্যাণ সংস্থা নামক প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় ক’বাসিন্দা বলেন,রিপনের সংস্থার ফেসবুক পেইজের ডিটেলস এভাউটে গিয়ে যা দেখা যায়,বাস্তব কার্যক্রমে কোন মিল নেই।যে চাচা থেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত রিপন।সেই চাচার ‘স্মৃতি ট্রাস্ট’ কে সামনে না এনে নিজে সমাজে নাম কামানোর জন্য খুলেছে এস আর সমাজ কল্যাণ সংস্থা। তাছাড়া তার চাচা মারা যাবার পর গ্রামে থাকা চাচার সম্পত্তিও দখলে নিয়েছে রিপন।এক কথায় রক্তের সাথে বেইমানি।যে লোক চাচতো বোনকে বিয়ে করে সম্পত্তি দখলের পর স্ত্রীকে নির্যাতন করে চলে যেতে বাধ্য সে কিভাবে জনসেবক হতে পারে?তার নেতৃত্ব ব্যক্তিত্ব কোন নেতা নেতা নেই।উদাহরণ দিয়ে তারা বলেন,৫০, ১০০, ৫০০ বা হাজার মানুষকে যে নিয়ন্ত্রণ করে কোন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারে বা কোন স্থানে ডাক দিলে এই সব মানুষ নিতে পারে তাকে নেতা বলে।কোন রাজনৈতিক দলের নেতা তো দূরের কথা গ্রাম পর্যায়ের কোন মেম্বর চেয়ারম্যানও নেই।শুধু টাকা উড়িয়ে লোক ভাড়া করে নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।বিষয়টি পরিস্কারভাবে বুঝতে চাইলে তারা বলেন,মিডিয়া ম্যানেজের জন্যও রিপন তৈরী করেছে একটি টিম।

এমন তথ্যের ভিক্তিতে সংস্থা পোইজটি যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় ১৪ হাজার লাইক এবং ১৫ হাজার ফলো রয়েছে। ডিটেলস এভাউটে লেখা রয়েছে,এস আর সমাজ কল্যাণ সংস্থা একটি অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।প্রতিষ্ঠাতা মোঃ সালাহউদ্দিন রিপন।১৯৮১ সালে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাটনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করে রিপন।পিতা আ. মান্নান হাওলাদারসহ দুজন চাচা মুক্তিযোদ্ধা।সর্বকনিষ্ঠ চাচা হলেন রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যাবার পর রিপন চাচার ব্যবসার উত্তরসূরী হিসেবে নির্বাচিত করে যান।পারিবারিক উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২০ জানুয়ারী মরহুম মোঃ রফিকুল ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্মৃতি ট্রাস্ট।সেই স্মৃতি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে শুরু হয় শিক্ষা, চিকিৎসা,গরীব দুঃখী মানুষের নানাবিধ সেবা ও সাহায্য কার্যক্রম।রফিকুল ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত সেই স্মৃতি ট্রাস্ট ও পারিবারিকভাবে অর্জিত মানবসেবার মানসিকতার সূত্র ধরে ২০১৬ সালে সালাহউদ্দিন রিপন নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন ”এস আর সমাজ কল্যাণ সংস্থা”। এই সংস্থার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষা,চিকিৎসা,দরিদ্র পিতার কন্যা পাত্রস্থ করা,গৃহ মেরামত ও নির্মান,মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানা সহ অন্যান্য ধর্মীয় কাজে সহযোগিতা,সুদমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেনাদার গরীব মানুষদেরকে সুদমুক্ত হবার প্রয়াসে শর্তহীন ঋণপ্রদান প্রভৃতি।

বাসিন্দাদের তথ্যানুযায়ী আসলেই প্রশ্নবিদ্ধ।জনপ্রতিনিধির এ পেইজে সর্ব্বোচ লাইক হল ১৩ ও ১৭ পর্যন্ত।তবে এস আর সমাজ কল্যাণ সংস্থা নামে নতুন আরেকটি ফেসবুক পেইজে ১৭ হাজার মেম্বর আছে।এটায় নির্বাচনী প্রচারণার ভিডিও পোস্ট করা হয়।প্রতি পোস্টে ৫০ এর কম-বেশি লাইক রয়েছে।তবে একটিতে ১০০ উপরে লাইক পড়েনি।এস আর সমাজ কল্যাণ সংস্থা গত ৭ বছরে ৫ আসনের জনগনের পেছনে ১০০ কোটি টাকার উপরে জনসেবা করার পরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন অবস্থা।সংগঠনের কর্মীদের কাছে তথ্য চাইলে তারা রিপনের ইশারায় সব হয় বলে এড়িয়ে যায়।অপরদিকে রিপনের রিরুদ্ধে চাচার অর্থসহ গ্রামের জমি আত্মসাৎ ও স্মৃতি ট্রাস্ট এর এখন অবস্থা কি? এস আর সমাজ কল্যাণ সংস্থা কাদের সহায়তা করেছে এমন তথ্য পাওয়া যাবে কিনা?

জানতে মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ করেন না।কাশিপুর এলাকার অনেকেই বলছেন,নির্বাচনী মাঠে রিপন দৈনিক মজুরী দিয়ে ভাড়া করা পুরুষ-মহিলা দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। আর তার গ্রামের অধিকাংশ মানুষের কাছে প্রতারণার মুখোশ খুলে গেছে।অনেকে নিন্দা জানিয়ে বলেন,আরেক ধাপ ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে রিপনের এ নির্বাচন।রক্তের সাথে যে বেইমানি করে সে জননেতা হয় কিভাবে।

আরও খবর

Sponsered content