প্রতিনিধি ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৫:০৩:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বিশেষ করে হাদী হত্যাকাণ্ড ও পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে।বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা হচ্ছে।

১. আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাঃ-যেকোনো সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।আসামি পালিয়ে যাওয়া বা এক সপ্তাহেও গ্রেপ্তার না হওয়া প্রশাসনের সক্ষমতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে।জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা যেকোনো সরকারের জন্যই একটি বড় সমালোচনা ও জবাবদিহিতার জায়গা।
২. প্রতিবাদের ধরণ ও সহিংসতা:পত্রিকা অফিস বা মানুষের ঘরবাড়িতে হামলা কখনোই সুস্থ প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না।যে,কোনো সুনির্দিষ্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়ার আড়ালে যদি গণমাধ্যম বা সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হয়,তবে তা গভীর ষড়যন্ত্র বা পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলার অংশ হতে পারে।এ ধরনের তান্ডব জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং মূল বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
৩. তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার গুরুত্ব:যেকোনো হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনাটা অপরিহার্য।বিচার প্রক্রিয়া যেন কোনোভাবেই প্রভাবিত না হয় বা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না হয়,তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।গুজবে কান না দিয়ে বা অনুমাননির্ভর বক্তব্য না দিয়ে আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমেই প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করা উচিত।
৪. মিথ্যা অভিযোগ ও সহিংসতা থেকে বিরত থাকা:ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করা বা প্রতিবাদের নামে সহিংসতায় লিপ্ত হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।এতে প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে চলে যেতে পারে এবং সমাজে বিভেদ ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। গণতান্ত্রিক সমাজে শান্তিপূর্ণ এবং গঠনমূলক উপায়ে দাবি জানানোর সুযোগ রয়েছে।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে সবাইকে সংযম পালন করতে হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের কাজ করতে দিতে হবে।একই সঙ্গে,প্রমাণভিত্তিক তথ্যের উপর নির্ভর করা এবং কোনো ধরনের উস্কানিমূলক বা সহিংস কার্যকলাপে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকা সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

















