প্রতিনিধি ১২ এপ্রিল ২০২৫ , ৫:২৪:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে পরিচিত মার্কিন ডলারের মান গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একতরফা শুল্ক আরোপের ঘোষণার জেরে বৈশ্বিক বাজারে এই ধস নেমেছে।

মার্কিন ডলারের সূচক (DXY) এবং ফোর্বস সাময়িকীর তথ্য অনুযায়ী,শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ডলারের মান কমে দাঁড়ায় ৯৯.০১ পয়েন্টে।এটি গত এক বছরে ডলারের প্রায় ৮ শতাংশ পতনের রেকর্ড। ডলারের মান কমে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে এর ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় মার্কিন ডলারের মাধ্যমে। ডলারের মান কমার প্রভাব পড়ে অন্যান্য দেশের মুদ্রার ওপরও।বিশেষজ্ঞদের মতে,এক দেশের মুদ্রার মান অনেকটাই নির্ভর করে ডলারের ওপর,যেটি ‘এক্সচেঞ্জ রেট’-এর মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।
ফোর্বস জানিয়েছে,গত বুধবার ট্রাম্প বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের ওপর নজিরবিহীন আমদানি শুল্ক আরোপ করেন।এই ঘোষণার পর থেকেই বাজারে অস্থিরতা শুরু হয় এবং ডলারের মান দ্রুত পতন ঘটতে থাকে।যদিও পরে তিনি চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের ওপর আরোপিত শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
শুল্ক আরোপের পরপরই আমেরিকা,ইউরোপ ও এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস নামে।এতে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয় এবং অনেকেই নিরাপদ বিনিয়োগে ঝুঁকে পড়েন।
মুদ্রার মান সাধারণত ওঠানামা করে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে। তবে কিছু মুদ্রা স্থির মানে নির্ধারিত থাকে,যেমন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ডলার নির্দিষ্ট হারে নির্ধারিত ছিল।১৯৯৮ সালের পর তা বাতিল করা হয় এবং এখন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্যও বাজার-নির্ধারিত।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা,পণ্যের চাহিদা ও অর্থনৈতিক নীতিমালার ওপর ভিত্তি করেই একটি মুদ্রার শক্তি বা দুর্বলতা নির্ধারিত হয় বলে মত দিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।











