অপরাধ-আইন-আদালত

মাদারগঞ্জ ঘেরাও করে রেখেছেন বিক্ষুব্ধরা

  প্রতিনিধি ২৪ এপ্রিল ২০২৫ , ২:১৭:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মাদারগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি।।সমবায় সমিতির নামে গ্রাহকদের আমানত আত্মসাত করার অভিযোগে আটক আল আকাবার পরিচালক ও জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমানকে আদালতে সোপার্দ না করা দাবিতে থানা ঘেরাও করে রেখেছেন বিক্ষুব্ধরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন শতশত গ্রাহক। জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমানকে আটকের খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই থানার সামনে জড়ো হতে থাকেন শত শত গ্রাহক।পরে তারা লেপ-তোশক নিয়ে রাতভর থানা সংলগ্ন মাদারগঞ্জ- জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নেন। সবশেষ সকাল থেকেই থানার অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধরা।

এর আগে বুধবার বিকেলে সমবায় সমিতির নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পলাতক আল আকাবা সমিতির পরিচালক ও জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমানকে আটক করে গ্রাহকরা।আটকের পর ওই তাকে গণপিটুনি ও গলায় জুতার মালা দিয়ে ঘোরানো হয়।পরে গলায় জুতার মালা পরিহিত ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।সবশেষ তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে গ্রাহকরা। এরপর বৃহস্পতিবার মাহবুবুর রহমানকে আদালতে না নেওয়ার দাবিতে থানার সামনে অবস্থান নেন গ্রাহকরা।

অভিযুক্ত মাহাবুবুর রহমানের বাড়ি বগুড়া জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামেও হলে তিনি মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের মুসলিমাবাদ মুন্সি বাড়িতে তার শ্বশুর বাড়িতে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করেন।জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ মাদারগঞ্জ উপজেলার রোকন পর্যায়ের নেতা তিনি এবং আল আকাবা সমবায় সমিতির লিমিটেড এর একজন পরিচালক।

সমিতির গ্রাহক সহায়তা কমিটির সভাপতি শিবলুল বারি রাজু জানান,আটক পরিচালক মাহবুবুর রহমানকে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা আদালতে যেতে বাধা দিচ্ছেন।তাদের (গ্রাহকদের) ধারণা আদালতে পাঠলে সে সহজে মুক্তি পেয়ে যাবে।বিক্ষুব্ধ ও প্রতারিত গ্রাহকরা গত রাত থেকে পরিবারসহ থানা ভবন ঘিরে রেখেছে এবং বিক্ষোভ করছে।

থানা ঘেরাওয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি মাদারগঞ্জ থানার ওসি হাসান আল মামুন।প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন,আটক আল আকাবা সমবায় সমিতির পরিচালক মাহবুবুর রহমানের নামে এই থানায় অর্থ আত্মসাত নিয়ে মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে পাঠনো হবে।

আরও খবর

Sponsered content