অপরাধ-আইন-আদালত

ভাঙারি ব্যবসায়ী হলেও পরিচয় দিতেন এমপি বা কখনও বিচারক হিসেবে!

  প্রতিনিধি ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ২:১৪:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত মৌলভীবাজারের জাকিরকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তিতে মিলেছে নানা তথ্য, জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবিপ্রধান)। সম্প্রতি সময় সংবাদকে ডিবিপ্রধান বলেন,প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত মৌলভীবাজারের জাকিরকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তিতে মিলেছে নানা তথ্য।

পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বারবার হয়রানি করাই ছিল তার কাজ।ভাঙারি ব্যবসায়ী হলেও পরিচয় দিতেন এমপি বা কখনও বিচারক হিসেবে।মাদক চোরাচালান,জঙ্গিদের গোপন বৈঠকের ভুয়া তথ্য দিয়ে ফোন দিতেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।যদিও পুরোটাই তার ধাপ্পাবাজি ছিল।

জাকির হোসেন ওরফে বাম্পার।মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা তিনি।কদিন আগেও তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফোন দিয়ে নিজেকে সংসদ সদস্য পরিচয় দেন। তার দেয়া তথ্যে পুলিশ মাদক কারবারিদের ধরতে কয়েক দফা অভিযানে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে।কারণ,তথ্য ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা।পুলিশকে বারবার হয়রানির অভিযোগে তিনি এখন গোয়েন্দা জালে বলে জানান ডিবির এ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন,ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমানকে তিনি ফোন দিয়ে নিজেকে প্রথমে মৌলভীবাজার ২ আসনের সংসদ সদস্য পরিচয় দিয়ে মাদক চোরাচালানিদের তথ্য দেন।একইভাবে সিলেট তিন আসনের সংসদ সদস্য পরিচয় দিয়ে তিনি আবার ফোন দিয়ে মাদক কারবারিদের তথ্য দিয়ে সহায়তা চান।

তিনি আরও বলেন,শুধু উপকমিশনার নয়,জাকির নিজেকে সংসদ সদস্য পরিচয় দিয়ে ফোন করেন লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ ও সহকারী পুলিশ কমিশনারকেও।জাকির মূলত ভাঙারির ব্যবসা করেন।

শুধু সংসদ সদস্য নয়,বিচারক পরিচয়েও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে জাকিরের বিরুদ্ধে,আইন অনুসারে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content