সারাদেশ

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারীরা অবসরকালীন সুবিধা পাচ্ছেন না

  প্রতিনিধি ১২ অক্টোবর ২০২৪ , ৪:৪২:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

দিনাজপুর প্রতিনিধি।।দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ভবানীপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক শাহ মোহা. সাদীদুল ইসলাম অবসরে গেছেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। ৮ অক্টোবর তিনি এসেছিলেন রাজধানীর পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে।এই ভবনে অবস্থিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং অবসর সুবিধা বোর্ড।অবসরের প্রায় দেড় বছরেও অবসর সুবিধার টাকা তিনি পাননি।

ব্যানবেইস ভবনের নিচতলায় সাদীদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়।গত বছর এপ্রিলে অবসর সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।কিন্তু এখনো নিজের পাওনা টাকা পাচ্ছেন না। স্ট্রোক করে এখন তিনি বেশ অসুস্থ।এরপর চিকিৎসার কাগজপত্রও জমা দিয়েছেন।তারপরও টাকা পাচ্ছেন না।এ সময় সঙ্গে থাকা তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসার খরচ জোগাতে ফকির হয়ে গেছি।’

শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরের পরপরই যেন তাঁদের প্রাপ্য সুবিধা পেতে পারেন সে জন্য সরকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

শুধু শাহ মোহা. সাদীদুল ইসলাম নন। আবেদন করে বেসরকারি বিদ্যালয়,কলেজ ও মাদ্রাসার হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা পাচ্ছেন না। কর্মজীবনের শেষে নিজের প্রাপ্য টাকা না পাওয়ায় নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন মানুষ গড়ার এসব কারিগর।

আর্থিক সংকটের কারণে এমনিতেই বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।এখন সরকার পরিবর্তনের পর অবসর সুবিধা বোর্ড পুনর্গঠন না করায় এই সমস্যা প্রকট হয়েছে।কারণ,বিগত সরকারের আমলে গঠিত বোর্ডের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা অফিস করছেন না।দিন যত যাচ্ছে,শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধার টাকা পেতেও অপেক্ষার সঙ্গে কষ্ট ও ভোগান্তি বাড়ছে।

সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী আছেন পাঁচ লাখের বেশি।এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধা দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।এর মধ্যে কল্যাণ সুবিধার টাকা দেওয়া হয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে।আর অবসর সুবিধার টাকা দেওয়া হয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের মাধ্যমে।

আরও খবর

Sponsered content