স্বাস্হ্য ও জীবন পরিচর্যা

বেতন-ভাতা ৫০ হাজার টাকা করার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

  প্রতিনিধি ১৫ জুলাই ২০২৩ , ৪:০০:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।মাসিক ভাতার দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছেন পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। ভাতা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরা তাদের এ আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের গেটে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন চিকিৎসকরা।
এ সময় চিকিৎসকরা ‘ক্ষুধা পেটে সেবা নয়, অধিকার চাই ভিক্ষা নয়’, ‘অনুগ্রহ নয় অধিকার চাই, সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন কাঠামো চাই’, ‘আশ্বাস নয় প্রমাণ চাই,৫০ হাজার ভাতা চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

চিকিৎসকরা বলেন,আমাদের দাবিগুলো জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম।প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। সেই আশ্বাসে আমরা শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম;কিন্তু আমরা ফের কর্মবিরতিতে ফিরতে বাধ্য হয়েছি।দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।

আন্দোলনের আহ্বায়ক ডা. মো. হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা নিয়মিত হাসপাতালে যে সময় দেই,তার কোনো মূল্যায়ন পাই না।অথচ সবচেয়ে মেধাবীরাই চিকিৎসা পেশায় আসেন।কিন্তু এই চিকিৎসকদের নিয়মিত অবহেলা আর অবমূল্যায়নের শিকার হতে হয়,তাহলে ভবিষ্যতে কেউ চিকিৎসা পেশায় আসতে চাইবে না।

তিনি বলেন,আমাদের আন্দোলন শুরু হয় ২০২০ সাল থেকে। তখন তিনটি দাবি নিয়ে আন্দোলনটা শুরু হয়েছিল।সেগুলো ছিল ভাতা ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধি,ভাতা নিয়মিত করা ও বকেয়া ভাতা পরিশোধ।এ তিনটি দাবির মধ্যে কেবল বকেয়া ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি দুটি দাবি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি।আমরা যতবারই দাবিগুলো নিয়ে বিএসএমএমইউ উপাচার্য ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গিয়েছি, ততবারই আশ্বাস পেয়েছি।কবে বাস্তবায়ন করা হবে তার কোনো নিশ্চয়তা পাইনি।আমরা চাই আমাদের দাবিগুলো ভিসি স্যারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।

পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাবির হোসেন বলেন,আমরা যতবারই দাবিগুলো নিয়ে ভিসি,ডিজি হেলথের কাছে গিয়েছি,ততবার কেবল আশ্বাসই পেয়েছি।কবে বাস্তবায়ন করা হবে তার কোনো নিশ্চয়তা পাইনি।আমরা চাই আমাদের দাবিগুলো ভিসি স্যারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।

আরও খবর

Sponsered content