প্রতিনিধি ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ , ১০:০৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক সম্প্রতি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।তার বরাতে জানা গেছে,চলমান সহিংসতা,বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং জঙ্গি তৎপরতার বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন সেনা প্রবেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তারা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন,এই পদক্ষেপ কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়কে নস্যাৎ করার চেষ্টা নয়;বরং এটি একটি সতর্কবার্তা যে,নিরপেক্ষ,অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে গুরুত্বপূর্ণ।বিশেষ করে,অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।এমন পরিস্থিতিতে শরিফ নিজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন।ভলকার তুর্কও স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন,যদি সহিংসতা অব্যাহত থাকে তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আওতায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সংকট মুহূর্তে দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিককে শান্তি,সংলাপ এবং সংবিধান সম্মত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকা অপরিহার্য।আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এবং সম্ভাব্য পদক্ষেপ বিবেচনা করে,এখন একমাত্র উপায় হলো রাজনৈতিক সহমর্মিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা,গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মানবাধিকার রক্ষা এখন আমাদের সকলে মিলে কাজ করার সময়। অব্যাহত সহিংসতা এবং জঙ্গি তৎপরতা কেবল দেশকে ভাঙবে না,আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থানও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

















